লিটনের আক্ষেপভরা ডাবল সেঞ্চুরি

ডাবল সেঞ্চুরির পর লিটন।আক্ষেপের খাতায় নাম লিখিয়েছেন লিটন দাস। তার সঙ্গে আক্ষেপ করছে ঘরোয়া ক্রিকেটও! আজকের দিনটা মুঠো ভরে দিতে চেয়েছিল তাকে। কিন্তু ট্রিপল সেঞ্চুরির একেবারে কাছে গিয়েও চওড়া হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। ফলে প্রাপ্তির সঙ্গে অপ্রাপ্তির এক মিশ্রন থেকে গেলো তার ২৭৪ রানের ইনিংসে।   

পরিসংখ্যানের পাতায় বৃহস্পতিবারই পরিবর্তন আসতে পারতো! একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন রকিবুল। তাই আরও একটু হলে লিটনকে তার পাশে দেখা যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু ১৯২ বলে ডাবলসেঞ্চুরি পাওয়া লিটন থেমেছেন ২৭৪ রানের ইনিংসে।

স্বল্পভাষী লিটনের ব্যাটে স্ট্রোকের কমতি ছিল না কখনোই। ২০১৪-১৫ মৌসুমে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ১ হাজার ২৪ রান করে নির্বাচকদের নজর কেড়েছিলেন। ওই বছর নজরকাড়া পারফরম্যান্স করে টেস্টে অভিষেক হয় লিটনের। কিন্তু জাতীয় দলে ঢোকার পর যেন খেই হারিয়ে ফেলেন।  ফলে গত তিন বছরে নিয়মিত হতে পারেননি এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।

সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছায়াতলে থাকা লিটন অবশ্য নিজের জাত চেনানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দুটি ভালো ইনিংস এসেছে লিটনের ব্যাট থেকে। এর বাইরে ঘরোয়া ক্রিকেটের চলতি মৌসুমে ব্যাট হাতে বোলাদের রীতিমতো শাসন করছেন।   

বৃহস্পতিবার ২৬ রানে ট্রিপল সেঞ্চুরির আক্ষেপ রেখে ডাবল সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েছেন।  অবশ্য আগের দিনই আভাসটা দিয়ে রেখেছিলেন লিটন। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ১৩৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিলেন। একই দাপটে খেলে বৃহস্পতিবার ১৯২ বলে ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন লিটন।  তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি থেমেছে ট্রিপল সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে। বিদায় নিয়েছেন ২৭৪ রানে।

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান রকিবুল হাসান।  বরিশালের হয়ে সিলেটের বিপক্ষে ২০০৬-০৭ মৌসুমে ফতুল্লায় ৩১৩ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন রকিবুল।  তার ৩১৩ রানের পর চলতি বছর নাসির হোসেনের ২৯৫, ২০১২-১৩ মৌসুমে মার্শাল আইয়ুবের ২৮৯ এবং ২০১৪-১৫ মৌসুমে মোসাদ্দেক হোসেনের ২৮২ রানের পর লিটন খেললেন ২৭৪ রানের ইনিংস।

লিটনের ২৭৪ ও আফিফের ১৪২ রানের ওপর ভর করে তৃতীয় দিন শেষে ৪৬ রানের লিড পেয়েছে পূর্বাঞ্চল।  দিনশেষে ৬ উইকেট হারিয়ে পূর্বাঞ্চল সংগ্রহ করেছে ৫৯২ রান। এর আগে মধ্যাঞ্চল আব্দুল মজিদের ডাবল সেঞ্চুরির (২০৫) ওপর ভর করে ৫৪৬ রান করতে সমর্থ হয়।  তৃতীয় দিন শেষে ম্যাচের যে পরিস্থিতি তাতে করে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটি নিষ্প্রাণ ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছে।