রেইডার মাসুদ করিম খেলবেন করাচি জোরাওয়ারসে। আর ডিফেন্ডার সবুজ মিয়া শাহীওয়াল বুলসে। দুজনেই আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা ছেড়েছেন। দু’জনেরই প্রত্যাশা বাংলাদেশের পতাকা সেখানে মেলে ধরতে চান ভালোভাবে।
ভারতের প্রো কাবাডি লিগে সর্বশেষ ২০১৭ সালে বাংলাদেশের তিন জন খেলেছেন- জাকির হোসেন, সোলায়মান কবির ও জিয়াউর রহমান। এবার পাকিস্তানে অভিষেক হতে যাচ্ছে নতুন দু’জনের। সুপার লিগ কাবাডিতে ইরান, ইরাক, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, জাপান ও কেনিয়া থেকে একাধিক খেলোয়াড়ের নাম নিলামে ছিল। সেখান থেকে ইরান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা সুযোগ পেয়েছেন। এরমধ্যে ইরান থেকেই আছেন সর্বোচ্চ ৫জন।প্রতিটি দলে একজন করে বিদেশি খেলতে পারবে।
জাতীয় দলের অধিনায়ক মাসুদ করিম এই পাকিস্তান সফরকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। যাওয়ার আগে বলেছেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা পাকিস্তানের লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকছে। নিজেদের পারফরম্যান্স দেখিয়ে সেখানে জিততে চাই। বাংলাদেশকে সেখানে চেনাতে চাই। যেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে আরও খেলোয়াড় সুযোগ পায়।’
এই লিগে খেলাকে এশিয়ান গেমসের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন মাসুদ করিম, ‘এখানে এশিয়ান গেমসের আগে ভালো অভিজ্ঞতা হবে আমাদের। এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য হাবিবুর রহমান ও গাজী মোজাম্মেল স্যারকে অনেক অবদান।’
পাকিস্তানে যাওয়া মানেই বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ঝুঁকি। আর সেখানে এই লিগ খেলতে নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়েই যাচ্ছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা দুজন খেলোয়াড়। মাসুদ করিম জানান, ‘ক্রিকেটার তামিম ইকবাল খেলে গেছেন। পাকিস্তান থেকে নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছে। সরকারের অনুমতি নিয়েই সেখানে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা সবুজ মিয়াও আশাবাদী সেখানে ইতিবাচক কিছু করার ব্যাপারে, ‘প্রো-কাবাডিতে প্রথম যাচ্ছি। পাকিস্তানে শক্তিশালী দলগুলো খেলবে। সেখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবো। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা যে খেলতে পারে- সেটাই পাকিস্তানের মাটিতে প্রমাণ করতে হবে। এক কথায় বলতে পারেন- পাকিস্তান জয় করতে চাই।’