দুই সেশন শেষে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৪ রান। ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ব্যাট করছেন ৮১ রানে, আর শিমরন হেটমেয়ার অপরাজিত আছেন ১৩ রানে।
আবু জায়েদ রাহীর পর বল হাতে নেওয়া সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ কঠিন পরীক্ষা নেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের। সাফল্য পেতে সময় নেননি। নবম ওভারের প্রথম বলে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন মিরাজ। এই স্পিনারের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আগের টেস্টের হাফসেঞ্চুরিয়ান ডেভন স্মিথ। মুমিনুল হকের হাতে ধরা পড়ার আগে তিনি করেন ২ রান।
আরেক ওপেনার ব্র্যাথওয়েট অবশ্য শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন কিয়েরন পাওয়েলকে নিয়ে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৫০ রান। শেষ পর্যন্ত জুটিটা ভাঙেন মিরাজ। এই স্পিনারের বলে ২৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পাওয়েল ২৯ রান করে।
উইকেটের বাড়তি বাউন্স ও ঘূর্ণিতে এই সেশনে স্পিনারদের খেলতে হিমশিম খেতে হয়েছে ক্যারিবীয়দের। যদিও দ্বিতীয় সেশনে ছিল এর বিপরীত চিত্র। পেসারদের পেয়ে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ধীরে ধীরে পূরণ করেন ১৮তম হাফসেঞ্চুরি।
শাই হোপকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়তে থাকেন। তাদের প্রতিরোধ পোক্ত হওয়ার পথে ভুল করে বসেন হোপ। পা বাড়িয়ে তাইজুলের বল খেলতে গিয়েছিলেন। বল লাফিয়ে ওঠে গ্লাভস ছুঁয়ে। সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে এসে পেছন থেকে দুর্দান্ত ক্যাচ লুফে নেন নুরুল হাসান সোহান। এই জুটিতে আসে ৭৯ রান।
এর আগে ৫৫তম ওভারে শাই হোপের বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের আবেদন করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। আম্পায়ার নাকচ করেছিলেন। রিভউ নিলে দেখা যায় বলে ছিল অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে।
ক্যারিবিয়ান সফরের শুরুটা বাজে হয়েছে বাংলাদেশের। অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচটি তারা হেরেছে ইনিংস ও ২১৯ রানে। সিরিজে ফেরার লড়াইয়ে দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। পেসার রুবেল হোসেনের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।