ওয়ানডে সিরিজে ভালো শুরুর প্রত্যাশা মাশরাফির

মাশরাফি বিন মুর্তজাদুই টেস্টে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর ওয়ানডেতে ভালো করার প্রত্যয় নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের আগে স্কোয়াডে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় নতুন করে যোগ দিয়েছেন। নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রথম ম্যাচে ভালো শুরু এনে দিতে চান ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

লংগার ভার্সনে হোয়াইটওয়াশ হওয়া বাংলাদেশ গায়ানায় ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নই রাখা হয়েছিল মাশরাফির কাছে। তিনদিন আগে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া মাশরাফি বলেছেন, ‘আমাদের দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় যোগ দিয়েছেন। আশা করছি সবার প্রচেষ্টাতে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব। অবশ্যই ওয়ানডে ক্রিকেট অনেক শক্ত ফরম্যাটের ক্রিকেট। আমাদের কম্বিনেশনটা বেশ ভালো। আশা করছি রবিবার আমরা ভালোভাবে শুরু করতে পারব।’

টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে অনেকটাই নির্ভার ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিয়মিত ওপেনার কার্লোস ব্র্যাথওয়েট না থাকলেও গেইল ও এভিন লুইসকে পেয়ে বেশ স্বস্তিতে স্বাগতিকরা। তাছাড়া দীর্ঘ ৩ বছর পর ক্যারিবিয়ানদের ওয়ানডে দলে ফিরেছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। এছাড়া শাই হোপ, কিয়েরন পাওয়েল, শিমরন হেটমেয়ার, জেসন হোল্ডাররা সামলাবেন স্বাগতিকদের মিডল অর্ডার। এমন ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে পরিকল্পনা করে মাঠে নামতে চান ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘আমরা জানি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মাঠে অনেক শক্তিশালী। তাদের বিরুদ্ধে খেলা খুব কঠিন। তবে আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে। আমাদের সামর্থের ওপর আস্থা রেখে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। লাইন-ল্যান্থ মেনে আমাদের ঠিক জায়গায় বল করতে হবে। তাদের ব্যাটসম্যানদের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করে সেভাবেই বোলারদের বল করতে হবে। আমরা শুরুতে যদি ওদের টপ অর্ডারকে ধসিয়ে দিতে পারি তাহলে ম্যাচটা আমাদের হাতে চলে আসবে।’

বাংলাদেশের জন্য কেবল ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরাই হুমকি নয়। স্বাগতিকদের দলের পেস আক্রমণও বেশ ভয়ঙ্কর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলিং আক্রমণ সামলাবেন আলজারি জোসেফ ও কিমো পল। তাদের সঙ্গে স্পিনার হিসেবে থাকবেন দেবেন্দ্র বিশু। সেই সঙ্গে জেসন হোল্ডারতো আছেনই। সবমিলিয়ে টেস্টে সিরিজের মতোই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য হুমকি হয়ে আসতে পারে তাদের বোলিং আক্রমণ। এ ব্যাপারে মাশরাফির ভাবনা, ‘আমার বিশ্বাস ওয়ানডে সিরিজে ব্যাটসম্যানরা ফিরে আসবেন। ওদের বোলরাদের বিপক্ষে ব্যাটিং করা সব সময়ই চ্যালেঞ্জের। কাজটা কঠিন হলেও আমার বিশ্বাস ব্যাটসম্যানরা চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে।’

গায়ানার এই ভেন্যুতে ২০০৭ সালে একবারই খেলেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচটিতে ৬৭ রানে জয়ের রেকর্ডও আছে। এত বছর পর উইকেট হয়তো বদলে যেতে পারে, মাশরাফির মনে সংশয়, ‘এখানে আমরা সবশেষ ২০০৭ সালে খেলেছি। জানিনা এখানে এখন খেলা কেমন হবে। আশা করছি ২৬০ থেকে ২৮০ এখানে ভালো স্কোর হবে।’