ফাইনালে নাওমি ওসাকার কাছে সরাসরি সেটে হেরে শিরোপা জেতা হয়নি সেরেনার। এমন হারে আলোচনায় ছিলো সেরেনার মেজাজ হারানো আর কোড ভায়োলেশন। আম্পায়ারের দিকে তেড়েও গিয়েছিলেন।মাশুল হিসেবে পয়েন্ট কর্তন আর গেম কর্তনের শিকার হয়েছেন। সেরেনা আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তকে লিঙ্গ বৈষম্য হিসেবে মন্তব্য করেন ম্যাচের পর। এমনকি রামোসকে বলে বসেন ‘চোর’ আর ‘প্রতারক’।
এর জবাবে টেনিস দুনিয়া বিভক্ত হলেও আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন বিবৃতিতে পাশে দাঁড়িয়েছে রামোসের। তারা জানিয়েছ, ‘রামোস যাই করেছে সেটা পেশাদারিত্ব ও সততার বিচারে করেছে। এটা বুঝাই যায় এমন হাই প্রোফাইল ও আফসোস তৈরি করবার মতো ঘটনা বিতর্ক উস্কে দেবে। একই সময়ে এটাও গুরুত্বপূর্ণ মি. রামোস তার দায়িত্ব রুল বুক মেনেই করেছে।’
আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন স্পষ্ট করেই জানিয়েছে, রামোসের সিদ্ধান্তগুলো ছিলো নিয়ম সিদ্ধ। সেই অনুসারে সেরেনার বিরুদ্ধে তিনটি নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থা আম্পায়ারের পাশে থাকলেও মেয়েদের টেনিসের গভর্নিং বডি ডাব্লিউটিএ অবশ্য সেরেনার পাশেই রয়েছে। তারা বলছে ছেলে ও মেয়েদের আচরণের বেলায় কোনও পার্থক্য থাকা কাম্য নয়।
সেরেনার এমন বিক্ষুব্ধ আচরণ বিপদ ডেকে এনেছে তার। বিধি ভঙ্গ করায় তাকে ১৭ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। যা তার ১.৮৫ মিলিয়ন ডলারের রানার আপ প্রাইজ মানি থেকে কেটে নেওয়া হবে।