উদ্বোধনী ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গার প্রত্যাবর্তনের ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখার সুযোগ ছিলো শ্রীলঙ্কার। বাংলাদেশের টপ অর্ডার কাঁপিয়ে দিলেও বল হাতে তার একক আধিপত্য ম্লান হয়ে গেছে লঙ্কানদের বাজে ফিল্ডিং ও বাকিদের নিষ্প্রভ পারফরম্যান্সে।
একই সঙ্গে চোট জর্জরতাও ভোগাচ্ছে হাথুরুসিংহেকে। তাই স্পিন নির্ভর আফগানিস্তানের বিপক্ষে তারা কেমন করে সেটাই দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আফগানদের আছে রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবীর মতো অভিজ্ঞ স্পিনার।
উল্টো দিকে প্রথম ম্যাচে স্পিনার আকিলা ধনঞ্জয়কে না পাওয়ায় বাকি ওভারগুলোতে তারা ছিলো নখদন্তহীন। প্রথম সন্তানের জন্মদানের পর আজকেই ম্যাচে যোগ দেওয়ার কথা তার। তার ফিরে আসাতে আত্মবিশ্বাস কিছুটা হলেও বাড়বে লঙ্কানদের। প্রাথমিকভাবে সেই আত্মবিশ্বাসহীনতার কথা সামনে আনলেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবিরা। ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসহীনতা ঠেকাতে চান মানসিক দৃঢ়তা, ‘টুর্নামেন্ট আমরা ভালো করে শুরু করতে পারিনি। গত সাত মাস ধরেই এই অবস্থা চলছে। বাংলাদেশ সফর থেকে যদি দেখেন সেখানে প্রথম দুই ম্যাচই হেরেছি। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে প্রথম ওয়ানডেতে ৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছি। উদ্বোধনী ম্যাচে ৬০ রানে গেছে ৬ উইকেট। চাপ কাটিয়ে উঠতে পারছি না। ছেলেদের মানসিক দৃঢ়তা সঠিক জায়গায় ফেরাতে হবে।’
অপর দিকে আফগানদের মূল শক্তি বোলাররা। কোচ ফিল সিমন্স এবার ব্যাটসম্যানদেরকেও একই জায়গায় দেখতে চাইছেন, ‘বোলাররা আমাদের শক্তি। তবে ব্যাটসম্যানরা যাতে সেই মাত্রায় পৌঁছাতে পারে আমরা এ নিয়েই কাজ করছি। বোলাররা ছেড়ে কথা বলবে না তবে ব্যাটসম্যানদের সেই মাত্রায় চড়ে সমান তালে জবাব দিতে হবে।’
হেড টু হেড: আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলেই জিতেছে শ্রীলঙ্কা।