রোহিতকে ফেরালেন রুবেল

রুবেল।রুবেলকে দিয়ে অবশেষে সাফল্য তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি। ওপেনিংয়ে নেমে ত্রাস ছড়াতে থাকা রোহিত শর্মাকে ৪৮ রানে তালুবন্দী করেন নাজমুল অপু। ভারতের স্কোর ১৬.৫ ওভারে ৭৩ রানে ৩ উইকেট।
মাশরাফির শিকার রাইডু

বোলিংয়ে এসেই সাফল্য পান মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিজের তৃতীয় বলে বাংলাদেশ অধিনায়ক ফিরিয়েছেন আম্বাতি রাইডুকে।

সংগ্রহটা বেশি নয়, তাই বোলিংয়ে ভালো শুরু দরকার ছিল বাংলাদেশের। শিখর ধাওয়ানের আউটের পর সেই শুরুটা এনে দিলেন মাশরাফি। তার স্টাম্পের ওপর বল খেলতে গিয়ে রাইডু ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের গ্ল্যাভসে। ব্যাটের কানায় লেগে আউট হওয়ার আগে ভারতীয় ব্যাটসম্যান ৭ বলে করেন মাত্র ২ রান।

নাজমুলের শিকার ধাওয়ান

ভারতীয় উদ্বোধনী জুটিকে বেশিদূর এগোতে দিলেন না নাজমুল ইসলাম। এই স্পিনার বোলিংয়ে এসেই তুলে নিয়েছেন শিখর ধাওয়ানের উইকেট। ভারত প্রথম উইকেট হারায় ৩৫ রানে।

ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন ধাওয়ান। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে থামান নাজমুল। নিজের চতুর্থ বলে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়ে ১৫ রান করা ধাওয়ানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান এই স্পিনার।

২২২ রানে অলআউট বাংলাদেশ

কোনও উইকেট না হারিয়ে স্কোর ১২০। সেই বাংলাদেশই কিনা অলআউট হয়ে গেল ২২২ রানে! এর মানে ১০২ রান তুললে ১০ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে দুর্দান্ত শুরুর পরও তাই ৪৮.৩ ওভারে গুটিয়ে গেছে মাশরাফিরা।

লিটন দাসের ইনিংসটাই বাংলাদেশের স্কোরকে অতদূর পর্যন্ত নিয়ে গেছে। বাংলাদেশি ওপেনার শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে জ্বলে ওঠে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তার ১২১ রানের সঙ্গে সৌম্য সরকার (৩৩) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (৩২) ছাড়া আর কেউই কিছু করতে পারেননি। হতাশ করেছেন ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন ও মাহমুদউল্লাহ। লোয়ার অর্ডারে মাশরাফিও কিছু করতে পারেননি। লোয়ার অর্ডারে মাশরাফিও কিছু করতে পারেননি। ৭ রান করে স্টাম্পিং হয়ে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। নাজমুল ইসলামও করেছেন ৭ রান। আর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রুবেল হোসেন ফিরেছেন শূন্য রানে।

ভারতীয় বোলারদের শুরুটা মন্দ হলেও পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে পেয়েছেন সাফল্য। সবচেয়ে সফল কেদার যাদব, এই স্পিনার ৪৫ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। আর ‍দুটি উইকেট শিকার কুলদীপ যাদবের।