মারিয়াদের প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী

অনূর্ধ্ব-১৬ দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও বাফুফের কর্মকর্তারা। ছবি-ফোকাস বাংলা।এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাই পর্বে ভিয়েতনামকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মেয়েরা। গত মাসে তাদের এমন সাফল্যের পর বৃহস্পতিবার গণভবনে মারিয়া মান্ডাদের সংবর্ধনার আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল দলের মেয়েদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

টুর্নামেন্টে মেয়েদের সাহসী ভূমিকার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মারিয়াদের প্রংশসায় বলেছেন, ‘খুব সাহসী ভূমিকা রেখেছো। খেলার পারফরম্যান্সও খুব ভালো ছিলো। আমি চাই খেলাধুলা-সাংস্কৃতিক চর্চায় সবদিক থেকেই ছেলে-মেয়েরা আরো উন্নত হোক।’

গত সেপ্টেম্বরে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে ভিয়েতনামকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশের মেয়েরা। তাদের এমন সাফল্য মেয়েদের অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী, ‘তোমাদের এমন সাফল্যে অনুপ্রানিত হয়ে অন্যরাও খেলাধুলায় এগিয়ে আসবে।’

চেক দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।বক্তব্যের আগে প্রধানমন্ত্রী মেয়েদের প্রত্যেকের হাতে কিছু উপহার সামগ্রী তুলে দেন। এসময় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও মেয়েদের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুটবল উপহার দেন। এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, বাফুফের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনার পাশাপাশি প্রতিটি খেলোয়াড় ১০ লাখ ও কর্মকর্তারা ৫ লাখ টাকা করে পুরস্কার পান।

এমন সংবর্ধনা পেয়ে বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের সাফল্যে খুশি হয়েছেন। আমরাও বেশ খুশি।’ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন আরও জানান যে কোনও প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, ‘সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবলে পাকিস্তানকে ১৭ গোল দিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে ১৭ গোল দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেছেন এটা তো আমাদের জন্য বিরাট ব্যাপার। ভবিষ্যতে মেয়েদের ফুটবলের যে কোন প্রয়োজনে সাহায্য-সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’

সংবর্ধনার পর অধিনায়ক মারিয়া মান্ডাও অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের আরো ভালোভাবে খেলতে বলেছেন। আমাদের পাশে আছেন। আর আমরা যেন ভালো খেলে আরো ভালো ফল করতে পারি, দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারি। সেটাই বলেছেন।’

ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবলে নেপালের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে চোখে ব্যথা পেয়েছিলেন। তাকে দেখেই প্রধানমন্ত্রী খোঁজ-খবর নিয়েছেন। আঁখি জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করেছেন, চোখে কী হয়েছে। আমি বলেছি খেলতে গিয়ে বুটের স্পাইক লেগেছে। তারপর তিনি মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করেছেন। ভালোভাবে চিকিৎসাও করাতে বলেছেন।’