এশিয়া কাপে দশজন ক্রিকেটারের ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিলো। তারপরও বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলেছে। শ্রীলঙ্কা সফর শেষে স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের জন্য কাজে দেবে বলে মনে করছেন যুবাদের এই কোচ, ‘শ্রীলঙ্কা সফর খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শ্রীলঙ্কা সফরের শুরুতে দুটি অঘোষিত টেস্ট ম্যাচ খেলবো, এরপর পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচ। এই ম্যাচগুলো স্কোয়াডের তরুণ ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বড় ভূমিকা পালন করবে।’
২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হবে যুবাদের বিশ্বকাপ। কঠিন কন্ডিশনে এমন দল নিয়ে সেরা সাফল্য পাওয়া সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নওয়াজ বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বকাপ খেলবো দক্ষিণ আফ্রিকায় (২০২০)। আমাদের অনেকগুলো সিরিজ ঠিক করা আছে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। আগামী আগস্টে আমরা ইংল্যান্ডে খেলবো। বিশ্বকাপের আগে হয়তো নিউজিল্যান্ডেও খেলবো। এর আগে আমরা দুটি হোম সিরিজও খেলবো।’
কন্ডিশনের কারণে উপমহাদেশের দলগুলো বিদেশের মাটিতে ভালো করতে পারে না। সেই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে কাজ করছেন নাভিদ নওয়াজ, ‘কন্ডিশনের ভিন্নতার কারণে দেশের বাইরে উপমহাদেশের দলগুলো ভালো করতে পারছে না। আমাদের মূল লক্ষ্য এই সমস্যার সমাধান করা। যখন আমরা দলটাকে ঠিকমতো গুছিয়ে নিতে পারবো, এরপর আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনের সঙ্গে যতটা সম্ভব প্রস্তুত হওয়ার চেষ্টা করবো। আমরা চাইবো কন্ডিশনকে অতীতের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভালোভাবে বুঝতে, এটা শুধু ব্যাট ও বলের খেলা নয়। মানসিকভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। এটা আমার লক্ষ্যগুলোর একটি- কীভাবে তারা বাইরে গিয়ে বিভিন্ন কন্ডিশনে খেলছে।’
তরুণদের দিয়ে ফলাফলের পাশাপাশি জাতীয় দলের পাইপলাইন তৈরি করার কাজটাও জরুরি বলে মনে করেন এই কোচ, ‘দিন শেষে বোর্ড চাইবে জাতীয় দলের জন্য ক্রিকেটার তৈরি করতে। প্লেয়ারদের গড়ে তুলে ভবিষ্যতে পাইপলাইন সমৃদ্ধ করা, এটাই বিসিবির মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, ফলাফল-জয় এবং জয়ের সংস্কৃতি ক্রিকেটার গড়ে তোলার জন্য ভালো। আপনি যদি জয়ের মধ্যে থাকেন, তাহলে আপনি ভালো ক্রিকেটার পাবেন। সুতরাং ফলাফলটাও গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাঁ, বড় দৃষ্টিকোণে জাতীয় দলের জন্য প্লেয়ার তৈরি করা আসল লক্ষ্য।’