শারীরিক অবস্থার উন্নতিতে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে সাকিব। সেই লক্ষ্যে ফিজিওর সঙ্গেও বিশাল আলোচনা সেরে রেখেছেন। তাই ফেরার সম্ভাবনার কথাটি উচ্চারণ করলেও সাকিব কোন সময় বেঁধে দিতে রাজি নন, ‘ফিজিওর সঙ্গে আলোচনা করেছি যে আমরা কোন সময় বেঁধে দেবো না। যখনই স্বস্তি বোধ করবো, ট্রেনিং শুরু করব হয়তো কিছুদিন পর থেকেই। সামনের সপ্তাহ থেকে স্ট্রেন্থ ট্রেনিং শুরু করতে হবে। এরপর যখন উন্নতি হতে থাকবে, ধারাবাহিকভাবে যখন দেখব যে সব দিক থেকেই খেলার ক্ষেত্রে আমার কোন সমস্যা হচ্ছে না, তখনই আসলে খেলার কথা চিন্তা করব। তার আগ পর্যন্ত আমিও খেলতে চাইব না, সেও আমাকে দিবে না।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে শুরু থেকে তাকে পাওয়া যাবে কিনা তা নির্ভর করছে সাকিবের শতভাগ ফিটনেসের ওপর। তাই সফরের কোন অংশে ফিরবেন এ নিয়ে রয়ে গেছে সংশয়, ‘আসলে আমরা কেউই সময় বেঁধে দিতে পারছি না। এমনও হতে পারে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্ট থেকে খেলতে পারি, দ্বিতীয় টেস্টেও খেলতে পারি। হতে পারে ওয়ানডে পর্যন্ত নাও খেলতে পারি। তবে আমি আবারো বলছি, উন্নতি যেভাবে হচ্ছে সেই অনুযায়ী খুব বেশি সময় লাগার কথা না। আর এটাই সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে যত তাড়াতাড়ি শতভাগ ফিট অবস্থায় খেলতে পারা যায়।’
ঘরোয়া সিরিজে ফিরতে না পারায় সাকিব আরব আমিরাতে খেলতে খুব জোরাজুরি করছিলেন। আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে যাচ্ছে ক্রিকেটের নতুন টুর্নামেন্ট টি-টোয়েন্টি এক্স। ছন্দে ফিরতে পূর্বসতর্কতার অংশ হিসেবে পাঁচ দলের এই প্রতিযোগিতায় খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনাপত্তি পত্র বা এনওসি চেয়েছিলেন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে শুরুতে এনওসি দিতে চায়নি বিসিবি। তবে শর্ত সাপেক্ষে তাকে এনওসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাকিব সেই অনুমোদনের পর বিষয়টিকে দেখছেন স্বস্তির খবর হিসেবে, ‘অবশ্যই স্বস্তির। ভালো দিক হচ্ছে যদি ওই সময়ের আগে আগে ফিট হতে পারি, যদি কিছু ম্যাচ খেলতে পারি। একই সঙ্গে ওই ম্যাচ গুলোও যদি খেলতে পারি, তাহলে ভালো প্রস্তুতি হবে। যেহেতু খুব বড় একটা ইনজুরি থেকে এখন সুস্থতার পথে, তো এই খেলাগুলো আমার দরকার। না খেলার কারণে আমার বেশ বড় একটা গ্যাপ হয়ে যাচ্ছে। পুরো ছন্দে আসতে আমার এই খেলাগুলো গুরুত্বপূর্ণ।’
আগামী ৩ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হবে প্রথম টেস্ট। প্রত্যাশিতভাবে সেখানে নেই সাকিব, নেই বাঁহাতি ওপেনার তামিমও। তার পরেও এই টেস্ট সিরিজ কঠিন হবে না বলে মত টেস্ট অধিনায়ক সাকিবের, ‘আমি তো কঠিন হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখি না। আমার মনে হয় না যে ওই রকম কোন সমস্যা হওয়ার কথা। আমাদের টিমটা এখন অনেক বেশি সামর্থ্যবান। জিম্বাবুয়ে বলে তা নয়, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি এশিয়া কাপেও। আমরা দুজন ছাড়াই টিম অনেক ভালো করেছে।’