‘জাতীয় সংগীত গাইবার সময় মেয়েরা কেঁদে ফেলেছিল’

ট্রফি জয়ের পর পুরো দল।ভারতের সুব্রত মুখার্জী কাপে অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিকেএসপি। তারা ফাইনালে ১-০ গোলে হারিয়েছে ভারতের সেন্ট জোসেফ আন্তর্জাতিক স্কুলকে। মেয়েরা এই আসরে জীবন-বাজি দিয়ে লড়েছে। ম্যাচকে ঘিরে দেশের প্রতি তাদের আবেগটা কতো তা প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাইবার সময়েও। সেই সময়ে অঝোরে কেঁদে ফেলেছিল পুরো দল!

দিল্লির আম্বেদকর স্টেডিয়ামের ফাইনালে জয়সূচক গোলটি আসে ৪৯ মিনিটে। একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন রত্মা আক্তার। সেরা খেলোয়াড়ও এই ফরোয়ার্ড। আর এই আসরে সেরা কোচ হয়েছেন বিকেএসপির জয়া চাকমা।

তিন আসরের মধ্যে দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন। এবার ভারতের সব প্রদেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের একটি দলও অংশ নিয়েছিল। সবার মধ্যে বিকেএসপি সেরা। এর রহস্যের কারণ বলতে গিয়ে জয়া চাকমা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘আমাদের মেয়েরা সারা বছর অনুশীলনে থাকে। তাদের প্রস্তুতিও সেভাবে হয়ে থাকে। এছাড়া ঘরোয়া আসরেও খেলেছে। সবমিলিয়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে আমরা সুব্রত কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এর কৃতিত্ব আসলে মেয়েদের।’

এমন নিবেদনের ইঙ্গিতটা পাওয়া যায় ফাইনাল ম্যাচের আগে। তখন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বেঁজে উঠার সময় চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরেছে মেয়েদের। জয়া চাকমা দেশের প্রতি খেলোয়াড়দের ভালোবাসার উদাহরণ দিতে গিয়ে বললেন, ‘আসলে ওরা বিকেএসপির হয়ে শুধু লড়েনি। দেশের হয়েও খেলেছে। ফাইনালে জাতীয় সংগীতের সময় তো চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে দেখেছি। আসলে ওরা নিজেদের সবটুকু উজাড় করে খেলেছে। যেন বিকেএসপির সঙ্গে দেশেরও জয় হয়, সুনাম বাড়ে। তাদের পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে।’

সুব্রত কাপে জয়া চাকমা সেরা কোচ নির্বাচিত হয়েছেন। তবে জয়া শুধু কোচিং নয়, রেফারিংও করিয়ে যাচ্ছেন। এএফসি বি লাইসেন্সের অপেক্ষায় থাকা জয়া তার স্বপ্নের কথা শোনালেন, ‘সুব্রত কাপে দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সেরা কোচের পদকটি আমি পেয়েছি। আমার স্বপ্ন আছে একসময় ফিফা রেফারি হবো। কোচিং ক্যারিয়ার আরো সমৃদ্ধ করবো। যেন মেয়েদের ফুটবলে বড় ভূমিকা রাখতে পারি।’

সুব্রত কাপ জেতার পর ভারতের মিডিয়াতেও আলোচনায় চলে এসেছে বিকেএসপির দলটি। প্রশংসা পাওয়ার মতোই যে অর্জন তাদের।