সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটে হেরে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে ম্যাকেঞ্জি বললেন, ‘আমার কাছে ব্যাটসম্যানদের অতি আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। প্রথম তিনটি আউটেই তা প্রমাণিত। লিটন, তামিম আর সৌম্য বলের গতি বুঝতে না পেরে আউট হয়েছে। ব্যাটসম্যানরা বলের পেস ব্যবহার না করে মাসল পাওয়ার ব্যবহার করে ভুল করেছে। এত কম রান করে জেতা যায় না। আসলে দিনটা আমাদের ছিল না।’
৬১ রান করা সাকিব প্রতিরোধ না গড়লে তিন অঙ্কের ঘরেও হয়তো যেতে পারতো না বাংলাদেশের সংগ্রহ। অধিনায়কের ইনিংসের প্রশংসা করে ম্যাকেঞ্জির মন্তব্য, ‘ম্যাচের শুরু থেকে ওদের দুই পেসার শেলডন কট্রেল আর ওশানে থমাস দারুণ গতিতে বল করছিল। তাদের বিপক্ষে খেলা আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য বেশ কঠিনই ছিল। তবে সাকিব তাদের পেস ব্যবহার করে খেলে সফল হয়েছে।’
সিলেটের ব্যর্থতা ভুলে ব্যাটিং কোচ তাকিয়ে মিরপুরে শেষ দুই ম্যাচের দিকে, ‘ইদানীং আমরা সব ফরম্যাটেই ভালো খেলছি। আজকের ব্যাটিং হতাশাজনক হলেও ব্যাটসম্যানদের ওপরে আস্থা আছে আমাদের। টি-টোয়েন্টিতে আমাদের পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো। আমি নিশ্চিত, সামনের ম্যাচে ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াবে।’
সবশেষে ২৩ বলে ৫৫ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলা শাই হোপেরও প্রশংসা করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ওপেনার ম্যাকেঞ্জি, ‘ওয়ানডে সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি করা হোপ আজ অবিশ্বাস্য ব্যাট করেছে। টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করেছে সে। আজ হোপই দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের কয়েকজন ব্যাটসম্যানের এমন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের ক্ষমতা আছে।’