টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া প্রোটিয়ারা ব্যাটিংয়ে ভালোই প্রতিরোধ দিয়েছিলো প্রথম দিন। ৬ রানে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এলগার বিদায় নিলে ওপেনার এইডেন মারক্রাম আর হাশিম আমলা মিলে প্রতিরোধ গড়েন দ্বিতীয় উইকেটে। মারক্রাম এক পর্যায়ে সেঞ্চুরির কাছে চলে গিয়েছিলেন। ৯০ রানে ব্যাট করতে থাকা এই ওপেনারকে ফাহিম আশরাফ বিদায় দিলে ধীরে ধীরে ইনিংসের পরিস্থিতি পাল্টায় প্রোটিয়াদের।
আমলা ৪১, ডি ব্রুইন ৪৯ রানের পর অভিষিক্ত জুবায়ের হামজার ৪১ রানে প্রোটিয়াদের অবস্থান শক্ত মনে হচ্ছিলো এক সময়। স্লো ওভার রেটে দু প্লেসিস নিষিদ্ধ হওয়ায় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন হামজা। খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে দারুণ প্রদর্শনী দেখালেও চা পানের বিরতির পর প্রোটিয়ারা হয়ে যায় তাসের ঘর। পাকিস্তানি বোলাররা আঘাত হানলে মাত্র ৩৩ রানের বিনিময়ে পতন হয় ৭ উইকেটের। চা পানের বিরতির সময় তাদের সংগ্রহ ছিলো ৩ উইকেটে ২২৬ রান! সেখান থেকে ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ আমিররা মিলে গুঁড়িয়ে দেন প্রোটিয়াদের ব্যাটিং অর্ডার।
ফাহিম ৫৭ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আব্বাস ও হাসান আলী। একটি উইকেট নেন শাদাব খান। ইতোমধ্যে সিরিজ হারা পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। ১৭ রান তুলতে তুলতে ২ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। তারা পিছিয়ে ২৪৫ রানে। দুটি উইকেট নিয়েছেন ভারনন ফিল্যান্ডার।