রাজশাহীর বিপক্ষে খুলনার সংগ্রহ ১২৮

_B9I7316বিপিএলে ঢাকা পর্বে একটিও জয়ের দেখা পায়নি খুলনা টাইটানস। সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশায় রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচ উপহার দিয়েছে খুলনা। ব্যাটিং বান্ধব পিচে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও খুব বেশি বড় স্কোর করতে পারেনি মাহমুদউল্লাহরা। ব্যাটসম্যানরা জ্বলে না ওঠায় তারা ৯ উইকেটে সংগ্রহ করেছে ১২৮ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদউল্লাহ। ঢাকায় যেখানে ফিল্ডিংয়ের পক্ষপাতী থাকতেন শুরুতে সেখানে সিলেটের ব্যাটিং পিচে আগে ব্যাট করে সমৃদ্ধ স্কোরবোর্ড চেয়েছিলেন খুলনা অধিনায়ক। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তা আর হয়ে ওঠেনি শেষ পর্যন্ত।

দুই ওপেনারের শুরুটাও খুব বেশি উজ্জ্বল ছিলো না। ১ চার আর ১ ছক্কায় দ্বিতীয় ওভারে উদানার বলে ফিরে যান ওপেনার জহুরুল। জুনায়েদ সিদ্দিকও বিদায় নেন একই ধারা মেনে। এক চার আর ১ ছক্কায় দলীয় ৩৭ রানে বিদায় নেন। আজকের ম্যাচে খেলতে নামা ডেভিড মালান নেমে দলের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। ৯ বলে ফিরে যান ৬ রান করে। তাতে সিলেটের ব্যাটিং পিচে পাওয়ার প্লের খুব একটা ফায়দা নিতে পারেনি টাইটানস।

ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস না খেলার ব্যর্থতা বজায় ছিলো এরপরেও। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৯ রানে ফিরে গেছেন আরাফাত সানির বলে ক্যাচ দিয়ে। শান্ত দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে বিদায় নেন রান আউটে।

বিপদে পড়ে যাওয়া খুলনার রানের চাকা সচল রাখতে দায়িত্ব পড়ে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের ওপর। কিন্তু আরাফাত সানির বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে তিনিও বিদায় নিয়েছেন মাত্র ৮ রান করে।  খুলনার ধীর গতির ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ স্কোরটা ছিলো শুধু আরিফুল হকের। ২৭ বলে ২৬ রান করে ফেরেন তিনি। ডেভিড উইজ তার আগে ফিরে গেছেন ১৩ রানের মামুলি ইনিংস খেলে।

ব্যাটসম্যানরা লম্বা ইনিংস খেলতে না পারায় খুলনা শেষ পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারে ৯ উইকেটে ১২৮ রান।  রাজশাহীর পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন ইসুরু উদানা, মেহেদী হাসান মিরাজ, ও আরাফাত সানি।