জুনায়েদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খুলনার সংগ্রহ ১৮১

ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি করেছেন জুনায়েদ।বিপিএলে টস হারলেও জুনায়েদ সিদ্দিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১৮১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে খুলনা টাইটানস। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এবারই প্রথম মুখোমুখি হয়েছে দু্ই দল।

টস হেরে ব্যাটিংয়ের সূচনাটা হোঁচট খেয়ে শুরু হয় খুলনার। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে সাইফুদ্দিনের বলে রানের খাতা খোলবার আগেই বিদায় নেন জহুরুল ইসলাম। হোঁচট খাওয়ার পরই হাত খুলে খেলতে থাকেন জুনায়েদ ও আল আমিন।

ডেভিড উইজের বদলে আজকে খেলতে নেমে সুযোগের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করেন আল আমিন। তার সঙ্গে যোগ দেন ওপেনার জুনায়েদ। দুজনেই ঝড়ো ব্যাটিং বজায় রাখেন পাওয়ার প্লেতে। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সাত ওভারের মাঝে খুলনার স্কোর বোর্ডে জমা হয় ৭৩ রান। আল আমিন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে আক্রমণে এসে তাকে বোল্ড করেন শহীদ আফ্রিদি। ১৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ফেরেন আল আমিন।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নেমে কিছুটা গতিশীল করার চেষ্টা করেন স্কোরবোর্ড। অপরপ্রান্ত ঠিকই আগলে রেখে ঝড়ো স্টাইলে খেলতে থাকেন ওপেনার জুনায়েদ। তবে মাহমুদউল্লাহকে স্থায়ী হতে দেননি শহীদ আফ্রিদি। ১৬ রান করা মাহমুদউল্লাহকে বোল্ড করে ফেরান সাজঘরে।

পরে ডেভিড মালান নামলে স্কোর বোর্ডকে আরও গতিশীল করেন জুনায়েদকে সঙ্গে নিয়ে। ৩১ বলে তুলে নেন ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি। মাহমুদউল্লাহকে বিদায় দেওয়ার পরের বলেই অবশ্য জুনায়েদকে গ্লাভসবন্দী করার সুযোগ এসেছিলো কুমিল্লার। আফ্রিদির বলে সেই ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি এনামুল বিজয়। জীবন পেয়ে ঝড়ো গতিতেই ব্যাট চালিয়েছেন এরপর।

এক পর্যায়ে ৪১ বলে ৭০ রান করা জুনায়েদ সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে তুললেও তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে রান আউট হলে তার সম্ভাবনাময় ইনিংসের ইতি ঘটে ৭০ রানে। এরপর মালানও ফিরে যান স্কোর বোর্ড সমৃদ্ধ করে। তাকে রিভিউ আবেদনে ক্যাচ আউটে ফেরান আফ্রিদি।কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ১২ আর আরিফুল ওভারের শেষ বলে ১৩ রানে ফিরলে ৭ উইকেটে ১৮১ রানে থামে খুলনার ইনিংস। 

কুমিল্লার হয়ে ৩৫ রানে তিনটি উইকেট নেন আফ্রিদি। দুটি নেন ওয়াহাব রিয়াজ, একটি মোহাম্মদ সাউফুদ্দিন।