বিপিএলে বর্তমানে দলগুলো রয়েছে চট্টগ্রামে। সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রকাশ করলেন নিজের অনুভূতি, ‘আসলে এটা আমার দ্বিতীয় জীবন। প্রথম ম্যাচটা যখন খেলবো তখন আমার দ্বিতীয় অভিষেক হবে বাংলাদেশ দলে। চেষ্টা করবো এখান থেকে ভালো কিছু করতে।’
গত আগস্টে বিধিবহির্ভুত আচরণের জন্য সাব্বির নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন ৬ মাসের। কিন্তু বিপিএল এক বিধ্বংসী ইনিংসের পর থেকেই তাকে নিয়ে হইচই। আচমকা এক মাস শাস্তি কমিয়ে তাকে ডাক দেওয়া হয়েছে দলে। শাস্তিপ্রাপ্ত সাব্বির জানালেন এই ঘটনার পর বিবেকের আদালতে দাঁড় করিয়েছিলেন নিজেকে, ‘নিজের বোধ আর অনুভূতির কাছেই দগ্ধ হচ্ছিলাম। কাউকে বলতেও পারছিলাম না। একইসঙ্গে চেষ্টা করছিলাম বিপিএলে যদি ভালো কিছু করতে পারি সুযোগ থাকবে। কিছুটা করে জাতীয় দলে ফিরেছি। দেখা যাক জাতীয় দলে ভাল কিছু করতে পারি কিনা।’
নিজের কৃতকর্ম নিয়ে সাব্বির অবশ্য বললেন অতীতে সতর্ক থাকবেন এসব বিষয়ে। একই সঙ্গে অতীতের এমন কদর্য ঘটনা ভুলে তাকাতে চান সামনের দিকে, ‘অতীত আর মনে করতে চাই না। ভবিষ্যতে যেন তেমন কিছু না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবো।’
এইত কিছুদিন আগে সাব্বির রহমান আগ্রাসী রূপটা দেখিয়েছেন রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। বিপিএলে ৫১ বলে করেন ঝড়ো গতির ৮৫ রান! সবশেষ জুলাইয়ে ওয়ানডে খেলা এই ব্যাটসম্যান মনে করছেন এই ইনিংসই তাকে আবার ফিরিয়েছে জাতীয় দলে, ‘অনেক বড় একটা বড় মঞ্চ বিপিএল। আন্তর্জাতিক ম্যাচের মতোই হয় এখানে। প্রতিযোগিতা হয়, চাপ আসে। আমি ৮ ম্যাচ খেলছি। ওভাবে রান করতে পারিনি। একটা ম্যাচে রান করেছি ওটাই হয়ত আমাকে সাহায্য করেছে জাতীয় দলে ফিরতে। ’
সাব্বিরের নতুন করে দলে ফেরার কৃতিত্ব অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবির)। বিসিবির পদক্ষেপে সাব্বির রহমানও ভীষণ খুশি। পুনরায় সুযোগ দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলেননি তিনি, ‘বিসিবিকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য। একই সঙ্গে সাহায্য করার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে, আমার ভক্ত-সমর্থক যারা আছেন-যারা সমর্থন করে যাচ্ছেন। চেষ্টা করবো তাদের সম্মান রাখতে। যেন নিজের মান-সম্মান রেখে খেলতে পারি।’