আরেকটি রোমাঞ্চকর ফাইনালের আভাস নাদাল-জোকোভিচের

US-Open-2010-Rafael-Nadal-and-Novak-Djokovic-hugঅস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে আবারও ‘তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার’ ঝাঁজ তোলার লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছেন নাদাল ও জোকোভিচ। দুই তারকার জন্যই এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন অনন্য কীর্তি গড়ার সুবর্ণ সুযোগ। জোকোভিচ রেকর্ড সপ্তমবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের লক্ষ্যে নামবেন তো নাদাল খেলবেন উন্মুক্ত যুগে সবকটি গ্র্যান্ড স্লাম দুইবার করে জেতার লক্ষ্য নিয়ে।

অবশ্য কোর্টে রেকর্ড ছাপিয়ে তাদের লড়াই সব সময় স্থান করে নেয় রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে। রবিবার দুপুরে এ নিয়ে ৫৩তম বারের মতো মুখোমুখি হচ্ছেন। তাদের এই ক্ল্যাসিক দ্বৈরথ যে কত টুকু আকর্ষণের তা বোঝা যাচ্ছে সাবেক উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন প্যাট ক্যাশের কথায়, ‘টেনিস ইতিহাসে এটা সবচেয়ে বড় দ্বৈরথ।’

কোর্টে নাদাল-জোকোভিচ লড়াই যে কত রোমাঞ্চ ছড়ায় তার উদাহরণ আছে অনেক। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেই ৫ সেটের এপিক ফাইনাল স্থায়ী হয়েছিলো ৬ ঘণ্টা। ঘাম ঝরানো এমন ম্যাচে জয় তুলে নেন সার্বিয়ান জোকোভিচ। শুধু সেবারই নয় এমন রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের উদাহরণ আছে আরও। তাইতো কোর্টে তাদের লড়াই রূপ নেয় ক্লাসিক দ্বৈরথে।

পরিসংখ্যানে তাদের মুখোমুখি লড়াই-

১. ৭ বার গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল

২. ৫টি গ্র্যান্ড স্লাম সেমিফাইনাল

৩. ১৭টি ট্যুর ফাইনাল

৪. ১৩টি ট্যুর সেমিফাইনাল

৫. একটি অলিম্পিক সেমিফাইনাল 

এত লড়াইয়ে অবশ্য এগিয়ে ৩১ বছর বয়সী জোকোভিচই। মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে খুব বেশি ব্যবধানে না হলেও এগিয়ে ২৭-২৫ ব্যবধানে। তার মাঝে শেষ ১০ ম্যাচে ৮টিতেই জয় তার।

তবে এবারের ফাইনালও যে জমজমাট হবে তা বলে রাখলেন তিনি, ‘আমি নাদালের বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলেছি, সবগুলোই এপিক ছিলো। আশা করছি ফাইনালটা দারুণ হবে।’

জোকোভিচের মতো এই লড়াইকে বিশেষ কিছু মনে করছেন নাদাল। তার মতোই একই সুরে বললেন, ‘কোর্টে আমরা দুজনেই দুজনকে নিজেদের টেনিসের গণ্ডি পার করতে চাপ প্রয়োগ করি। রবিবার তেমন কিছুই হতে যাচ্ছে।’