দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছেন মার্টিন গাপটিল ও নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। গাপটিলের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ৩৬.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড।
অথচ ক্রাইস্টচার্চের উইকেট ছিলো ব্যাটিং বান্ধব। রান উঠবে এমন সম্ভাবনায় টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়েও তার সদ্ব্যবহার করতে পারেনি বাংলাদেশ। কিউই পেস আক্রমণে সেই চিরচেনা নখদন্তহীন অবস্থাতেই দেখা গেছে ব্যাটসম্যানদের। টপ অর্ডার আগের ম্যাচের মতো ব্যর্থ। কিউই পেসারদের সামনে তারা আত্মসমর্পণ করায় ৪৮ রানে বিদায় নেন তিন জন। তামিম ৫, লিটন ১ রান করে ফেরেন শুরুতে। প্রতিকূল অবস্থায় সৌম্য ২২ ও মুশফিকুর ২৪ রান করে হাল্কা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাদের প্রতিরোধ বড় হতে দেননি স্বাগতিক বোলাররা। মিডল অর্ডারে সেই মিঠুন দায়িত্বশীল হাফসেঞ্চুরিতে দলকে ফের উদ্ধার করে সম্মানজনক অবস্থাতে পৌঁছাতে ভূমিকা রেখেছেন। ৬৯ বলে ৫৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
সাব্বির আজকেও ৪৩ রানের দায়িত্বশীল ও কার্যকরী ইনিংস খেলে পুঁজি বাড়িয়েছেন শেষ দিকে। কিন্তু সার্বিকভাবে দায়িত্বশীলতার অভাবে এই ম্যাচেও লড়াই করার মতো রসদ যোগান দিতে পারলো না ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশ অলআউট হয় ৪৯.৪ ওভারে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪৩ রানে তিন উইকেট নেন পেসার লকি ফার্গুসন। দুটি নেন আরেক পেসার জেমস নিশাম ও লেগ স্পিনার টড অ্যাস্টল।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪২ রানে দুই উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচসেরা হয়েছেন সেঞ্চুরি হাঁকানো মার্টিন গাপটিল।