অবশ্য বেসিন রিজার্ভে ব্যাট হাতে ভালো রেকর্ড স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের। শেষ ৭ টেস্টের ৫টিতেই রান পার হয়েছে গড়ে ৫০০। সবচেয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয় ধীরে ধীরে এখানকার উইকেট বোলারদের জন্য হয়ে দাঁড়ায় নিষ্প্রাণ। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হয়ে যাওয়া টেস্টই এর প্রমাণ।
২০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর পুরো চতুর্থ দিন প্রতিরোধ দিয়ে খেলেছে শ্রীলঙ্কা। কোনও উইকেট নিতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের পেসাররা। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও কুসল মেন্ডিসের শতক হাঁকানো ব্যাটিং দেখে এই টেস্টে ব্যাটিং বান্ধব উইকেট প্রত্যাশা করছেন বোল্ট, ‘আমি একই রকম কন্ডিশন প্রত্যাশা করছি। তবে সচরাচর এমন চতুর্থ দিনের অভিজ্ঞতা হয় না যা প্রাণহীন ও উইকেটহীন।’ তবে বোল্ট বার্তা দিয়ে রাখলেন প্রতিরোধ আসলে সেই প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্যও আছে স্বাগতিকদের, ‘যদি শ্রীলঙ্কার মতো এমন পরিস্থিতি সামনে আসে, তাহলে আমি মনে করি উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য আছে আমাদের।’
স্বাগতিক হওয়ায় এই মাঠের উইকেট সম্পর্কে ভালোভাবে জানা আছে নিউজিল্যান্ডের। ওয়েলিংটনের এই পিচ ধীরে ধীরে সলিড ব্যাটিং উইকেটে রূপ নেয়। অবশ্য পেসারদের জন্যও কিছুটা ঘাস থাকবে এই উইকেটে। বোল্ট সেই সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বললেন, ‘আমরা এখানে যথেষ্ট ক্রিকেট খেলেছি। তাই ভালো করে জানি এখানকার উইকেট কেমন। এখানে অনেক ব্যাটিং রেকর্ড আছে, সলিড উইকেট- যা ধীরে ধীরে উন্নতি লাভ করে। ঘাস থাকবে পেসারদের জন্য, তবে আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে বোলিং ইউনিটে উন্নতি করার দিকে।’
বোল্ট অবশ্য বাংলাদেশকে সতর্ক বার্তাও দিয়ে রেখেছেন। প্রথম টেস্টের মতো নেইল ওয়াগনারের শরীর তাক করা বল থাকবে এই টেস্টেও, ‘বাংলাদেশ একটা বিষয় প্রত্যাশা করতেই পারে আর সেটা হলো নেইল ওয়াগনারের নেতৃত্বে বেশি বেশি শর্ট বল। বাংলাদেশও এটা প্রত্যাশা করছে। আমার মনে হয় এটা কৌশলগত। কারণ উইকেটে যখন আর কিছু থাকবে না, তখন এ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।’