নটিংহামে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের পরিকল্পনায় ছিলো পুরোপুরি সফল। শর্ট বলে দুই প্রান্ত থেকে প্রায় ব্যস্ত রেখেছিলো অজিদের। সেই বাউন্সারেই ৭৯ রানে একের পর খেই হারিয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন ৫জন।
পাকিস্তানকে একই কৌশলে বাক্সবন্দী করে রাখা ক্যারিবীয়রা একই কৌশলে শুরুতে সফলও হয় অজিদের বিরুদ্ধে। শুরুতে আঘাত হানেন ওশানে থমাস। ব্যক্তিগত ৬ রানে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ফিরিয়ে ধসের শুরু। পরে ডেভিড ওয়ার্নারও একই বাউন্সারে হন পরাস্ত। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ৩ রানে।
টপ অর্ডারের এমন আসা যাওয়ার মাঝে ব্যতিক্রম থাকেন শুধু স্মিথ। ৩৮ রানে ৪ উইকেট পড়লে ধীরে ধীরে জুটি গড়ে দলটাকে একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নিতে লড়াই করেন। অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোইনিস তার সঙ্গে ৪১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে ফিরে যান ১৯ রানে। তাতেও লড়াকু মেজাজ থেকে টলানো যায়নি বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। পরবর্তী লড়াকু যোদ্ধা ছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি। স্মিথের সঙ্গে আরেকটি জুটি গড়ে ৪৫ রান করে দলকে খাদ থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন।
স্মিথ যখন ফেরেন ততক্ষণে বিপদ থেকে উতরে গেছে অস্ট্রেলিয়া, স্কোর ৭ উইকেটে ২৪৯। ভালো স্কোর গড়ে দিয়ে স্মিথ ফিরলেও অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসকে আরও হৃষ্টপুষ্ট করেছেন মূলত নাইল। ৬০ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছয়ে ৯২ রান তুলে ফেলেন। যা তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ। ৪৯তম ওভারে তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন ব্র্যাথওয়েট। ৪৯ ওভারে স্টার্ক ফিরে গেলে ২৮৮ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
৬৭ রানে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। দুটি করে উইকেট নেন ওশানে থমাস, শেলডন কট্রেল ও আন্দ্রে রাসেল। অধিনায়ক জেসন হোল্ডার নিয়েছেন একটি।