‘ডি ভিলিয়ার্স চাইলে আমাদের সঙ্গেই থাকতে পারতো’

ওটিস গিবসনঅবসর থেকে আবার প্রোটিয়াদের হয়ে বিশ্বকাপে ফিরতে চেয়েছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। আচমকা এমন খবর প্রকাশের পর থেকে চলছে নানা আলোচনা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় প্রোটিয়া কোচ ওটিস গিবসনকে। প্রশ্ন শুনে কিছুটা বিরক্তও হয়ে যান প্রোটিয়া এই কোচ।

প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি বলেই ফেলেন, ‘আমরা কি সব সময় এবিকে নিয়েই কথা বলবো? আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রস্তুতি নিচ্ছি। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এখানে কোর্টের মামলা মোকদ্দমা চলছে।’

বিষয়টি অনেক পুরনো হওয়াতে বিরক্তি ঝরেছে গিবসনের কণ্ঠ থেকে। তিন ম্যাচ হেরে এমনিতেই দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে প্রোটিয়াদের। এখন বাঁচা মরার লড়াই সামনের ম্যাচগুলো। তাই যখন এবির দলে ফেরা নিয়ে প্রশ্নটা করা হলো গিবসন ব্যাখ্যা দাঁড় করালেন পুরো পরিস্থিতি নিয়ে, ‘ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এবির চেয়ে বাকিরাই এবিকে দলে বেশি করে চাইছে। মনে করি এবি যদি এখানে থাকতে চাইতোই, তাহলে থাকতো। কিন্তু এবি এখন সেখানেই আছে যা সে করতে চাইছে। আমি বিষয়টিকে এভাবেই দেখি।’

শেষ মুহূর্তে এবি কে না রাখার বিষয়টি কখন জানতে পারেন গিবসন? এমন প্রশ্নে দক্ষিণ আফ্রিকা কোচের বক্তব্য, ‘আমি কখন জানতে পারি? আসলে এবি আমাকে ফোন করেছিলো। সেদিন স্কোয়াড ঘোষণার দিন ছিলো। এর আগে অনেক কিছুই হয়ে গেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে ওকে বিশ্বকাপ খেলতে হলে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ট্যুরে খেলতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু সে চায়নি।’

গিবসন আরও জানান, ‘এমন ফেরার বিষয়টি আইপিএলে থাকতেই ফাফ দু প্লেসিকে জানিয়েছিল ডি ভিলিয়ার্স। ফাফ এরপর আমাকে বিষয়টি জানায়। তারপর কোনও এক সময় ডি ভিলিয়ার্স আমাকে ফোন করলে আমি বোর্ডের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলি। পরে আলোচনা শেষে যে সিদ্ধান্ত আসলো তা হলো অনেক দেরি হয়ে গেছে।’