লিটনের ইনিংসটা চোখ ধাঁধানো: সাকিব

সাকিব আল হাসান। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে খেলেই বিশ্বকাপে প্রথমবার অভিষেক হলো লিটন দাসের। আর তাতে করলেন দুর্দান্ত একটি পারফরম্যান্স। তাও আবার প্রথমবারের মতো পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করে।

সাধারণত ওপেনিং পজিশেন খেলে অভ্যস্ত লিটন। দলের স্বার্থে বেশ কয়েকবার তিন ও চার নম্বরে খেলতে হয়েছিল। কিন্তু এবারই প্রথম ৫ নম্বরে খেলে চমকে দিলেন সবাইকে। সাকিবের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে রেকর্ড ১৮৯ রানের জুটি গড়লেন। খুব কাছ থেকে লিটনের ব্যাটিং দেখেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন লিটনের ৯৪ রানের ইনিংসটি চোখ ধাঁধানো মনে হয়েছে তার কাছে।

সোমবার সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দলীয় ১৩৩ রানের পর সৌম্য, তামিম ও মুশফিককে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই চাপ দারুণভাবে সামলেছেন সাকিব-লিটন জুটি। বিশেষ করে সাকিবকে চাপমুক্ত হয়ে খেলতে সহায়তা করেছেন লিটন। ৬৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংসটি সাজান তিনি। সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে তার এমন ব্যাটিংয়ে ভর করেই ৫১ বল আগে থাকতে ৩২২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ।

এই তাড়ার মাঝে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে মুগ্ধ চোখে লিটনের নান্দনিক ব্যাটিং উপভোগ করেছেন সাকিব। তাই লিটনের প্রশংসা না করে পারলেন না তিনি, ‘উইকেট খুব সহজ ছিল। আমি ওকে বলেছিলাম, যদি উইকেটে থাকতে পারিস, তাহলে খেলাটা শেষ করা যাবে। প্রথম ১০, ১৫ বল পর যেভাবে সে (লিটন) ব্যাট করেছে, তা ছিল চোখ ধাঁধানো। অপরপ্রান্ত থেকে আমি তার ব্যাটিং উপভোগ করেছি।’

৩২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে রান রেটের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হয় বাংলাদেশকে। এমন অবস্থায় মূলত লিটনের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের কারণেই চাপমুক্ত হয়ে নিজের ইনিংস বড় করতে পেরেছেন সাকিব, ‘এমন রান তাড়ায় সে (লিটন) কখনোই আমাকে চাপে পড়তে দেয়নি। এটাই তার ইনিংসের সেরা দিক বলব। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ, তিন-চার ম্যাচ দলের বাইরে বসে থাকার পর মাঠে নামা সহজ নয়। কিন্তু সে যেভাবে চাপ সামলেছে, তা ছিল দুর্দান্ত।’