প্যাটেলের ঘূর্ণিতে স্বস্তিতে নেই শ্রীলঙ্কা

৫ উইকেট নিয়েছেন প্যাটেল।নিউজিল্যান্ডকে প্রথম দিন দিশেহারা হতে হয়েছিল আকিলা ধনাঞ্জয়ার ঘূর্ণিতে। দ্বিতীয় দিন কিউই স্পিনার আজাজ প্যাটেলের ঘূর্ণিতে লঙ্কানদেরও চেপে ধরেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ২৪৯ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা লেট অর্ডারের প্রতিরোধে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ২২৭ রানে! স্বাগতিকরা পিছিয়ে ২২ রানে। 

গলে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা ছিল শ্রীলঙ্কার। আগের দিন স্বাগতিক বোলারদের হতাশায় ডুবিয়েছেন রস টেলর। সেই টেলরকেই দ্বিতীয় ওভারে সাজঘরের পথ দেখান সুরঙ্গা লাকমাল। ৮৬ রানে বিদায় নিতে হয় টেলরকে। শেষ দিকে স্যান্টনার, সাউদি ও বোল্টের হাল্কা প্রতিরোধে স্কোরবোর্ডে আরও কিছু রান যোগ হয় নিউজিল্যান্ডের। তবে লাকমালের গতি ঝড়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তা। ২৪৯ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। ধনাঞ্জয়ার ৫ উইকেট শিকারের সঙ্গে এদিন ৪ উইকেট ঝুলিতে নেন লাকমাল।

শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শুরুটাও আহামরি ছিল না। কিউইদের বামহাতি স্পিনার আজাজ প্যাটেলের ঘূর্ণিতে অস্বস্তি পড়ে শুরুতে বড় জুটি পায়নি তারা। ৬৬ রানে ২ উইকেটের পতন  ঘটলে প্রতিরোধ দেন কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। দুজনের অর্ধশত রানের ইনিংসে ভর করে লঙ্কানরা পাল্টা জবাবের অপেক্ষায় ছিল। প্রতিরোধ গড়া এই জুটিকে দলীয় ১৪৩ রানে ভেঙে কিউইদের লড়াইয়ে ফেরান প্যাটেল। মেন্ডিসকে ৫৩ রানে ফেরান তিনি। পরে নতুন নামা কুশল পেরেরাকে বোল্ট ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও ম্যাথুজকে (৫০) প্যাটেল বিদায় দিলে লঙ্কানদের ইনিংস অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ধনাঞ্জায়া বিদায় নিলে তা হয়ে ওঠে আরও জটিল। তখন স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ১৬১ রান। লঙ্কানদের এই দুর্দশা থেকে উতরে যেতে সহায়তা করেন নিরোশান দিকবেলা ও পেসার লাকমাল। দিকবেলা ব্যাট করছেন ৩৯ রানে আর লাকমাল ২৮ রানে।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে সেরা বোলার ছিলেন প্যাটেল। ৭৬ রানে নেন ৫ উইকেট।