পাওয়ার হাউজের সব রসদ আছে বাংলাদেশের: ডোমিঙ্গো

রাসেল ডোমিঙ্গো।দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে নাম লিখিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান রাসেল ডোমিঙ্গো। দায়িত্ব পেয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ক্রিকইনফোকে। সেখানেই বললেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেটের পাওয়ার হাউজ হতে সব রসদ জমা আছে বাংলাদেশের।’

ডোমিঙ্গো অবশ্য রসদের আলাদা করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি খুব করে জোর দিয়েছেন জাতীয় দলের নিচের স্তরের ওপর। তাই তৃণমূল স্তর নিয়ে বেশি করে ভাবতে চান তিনি, ‘আমি কিন্তু বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন দল থেকে জাতীয় দলের সঙ্গেও কাজ করেছি। তাই মনে করি আমি ভালোভাবে তৃণমূল পর্যায়ের সঙ্গে বেশি সম্পৃক্ত।’

তাই বলে জাতীয় দলের গুরুত্বকে খাটো করেননি। তিনি মনে করেন, ‘জাতীয় দলের গুরুত্বটা সবার প্রথমে। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে জাতীয় দলের নিচের স্তরে কী হচ্ছে সেদিকেও আগ্রহ থাকাটা জরুরি। কারণ এখান থেকেই আপনার প্লেয়াররা উঠে আসে। সেখানে যদি কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখতে পারি, তাহলে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটা হবে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ডোমিঙ্গো মনে করেন তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেটারদের ওপর জোর দিলে সিনিয়র প্লেয়ারদের ওপর তা চাপ প্রয়োগ করবে, ‘বাংলাদেশের দুর্দান্ত কিছু ক্রিকেটার রয়েছে। তবে তরুণ কিছু প্লেয়ার প্রবেশের সুযোগ করে দিলে সেটা ভালো হবে। এতে করে সিনিয়র প্লেয়াররা চাপ অনুভব করবে।’

এ জন্য হাই পারফরম্যান্স প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান ডোমিঙ্গো, ‘আমার মনে হয় এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এইচপির কোচের সঙ্গে কাজ করা। তাতে করে পরবর্তী সেরা প্লেয়ারকে বেছে নেওয়া সম্ভব হবে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলটিকেই দেখুন না। ওরা ইংল্যান্ডকে চারবার হারিয়েছে, ভারতকেও অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল। নিশ্চিতভাবে তাদের মাঝে প্রতিভাবান কিছু ক্রিকেটার রয়েছে। এদেরকে জাতীয় দলের কাছে নিয়ে আসতে হবে।’

ডোমিঙ্গো নিজেও জানেন গত ৫-৬ বছরে সবচেয়ে উন্নতি করা দল বাংলাদেশ। তবে পাওয়ার হাউজ হিসেবে গড়ে উঠতে প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। ডোমিঙ্গোর প্রেরণা এসব কিছুর রসদ মজুদ আছে বাংলাদেশের, ‘পুরো বিশ্বে যদি দেখেন তাহলে দেখবেন বাংলাদেশ ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে। বোর্ডের সঙ্গে দেখা করে বুঝেছি তাদের পরিকল্পনা আছে। বিশ্ব ক্রিকেটের পাওয়ার হাউজ হতে বাংলাদেশের সব রসদ মজুদ আছে। বাংলাদেশের এই বিষয়টিই আমাদের সবচেয়ে বেশি রোমাঞ্চিত করে।’