জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচকে ঘিরে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে বন্দর নগরীতে। সাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। সাধারণ মানুষের কাছে এটি তাই সাগরিকা স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত। এই স্টেডিয়ামে ২০১৪ সালের পর কোন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়নি।
২০১৪ সালের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে স্টেডিয়ামের কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘অনেক দিন পর এখানে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হচ্ছে। সেই ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ হয়েছিল। স্পষ্ট মনে আছে, কীভাবে উইকেট বানিয়েছিলাম। তবে ৫ বছর পর আবার টি-টোয়েন্টি ফিরছে বলে ভালো লাগছে। আশা করি সাগরিকার প্রত্যাবর্তনের এই ম্যাচটি বাংলাদেশ জয় দিয়েই শুরু করবে।’
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হয়েছিল সাগরিকায়। লঙ্কানদের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই হার মেনেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার করা ১৬৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৬৬ রানে অলআউট হয়েছিল। এনামুল হক বিজয়ের ৪৫ বলে ৫৮ রানের ঝকঝকে ইনিংসের পরও মাত্র ২ রানে হারতে হয় মাশরাফির দলকে।
পরের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ১২০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে সাত উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা। আর তাতে ২-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে সফরকারী শ্রীলঙ্কা।
সাগরিকায় খেলা পরের দুটি ম্যাচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটায় বাংলাদেশ ৮ উইকেটের জয় পায়। আগে ব্যাটিং করা নেপাল নির্ধারিত ওভারে ১২৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে তামিম-এনামুল-সাব্বির-সাকিবের ব্যাটে ২৭ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
নেপালের বিপক্ষে সহজে জিতলেও র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা হংকংয়ের কাছে এই মাঠে হারের গ্লানি আছে বাংলাদেশের। নবীন এই দলটির বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ সংগ্রহ করতে পারে ১০৮ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রানের ইনিংস আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। এতো অল্প রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য ঘাম ছুটে যায় হংকংয়ের। ২ বল হাতে রেখে তারা দুই উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয়।
বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাগরিকায় নিজেদের পঞ্চম ম্যাচটিতে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পর থেকে ছন্দহীন বাংলাদেশের সামনে সুযোগ জহুর আহমেদে ব্যবধান কমিয়ে আনার। সেই সঙ্গে প্রভাব বিস্তার করা একটি জয়ই পাল্টে দিতে পারে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমকে। বন্দর নগরী চট্টগ্রামের দর্শকরাও বাঘের গর্জন শোনার অপেক্ষায়।