বাংলাদেশের বোলিংয়ে দিশেহারা আফগানিস্তান

আফিফের জোড়া শিকারের পর আঘাত হেনেছেন মোস্তাফিজ। চট্টগ্রামে ফাইনালের আগে ড্রেস রিহার্সেলে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিং করছে আফগানরা। আফিফ হোসেনের জোড়া শিকারের পর আফগানিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৭ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৪ রান।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরুতে আফগানদের বিপক্ষে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান। উইকেটে ঘাস আছে দেখে পেসারদের দিয়ে শুরুটা আক্রমণাত্মক করতে চেয়েছিলেন।

বল হাতে অধিনায়কের অনুমান মতোই শুরু করেছিলেন সাইফ-শফিউল। দ্বিতীয় ওভারে শফিউল ইসলামের বলে টপ এজ হয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ উঠেছিল রহমানউল্লাহ গুরবাজের। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ লুফে নিতে পারেননি তা।

বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম ৫ ওভার সেভাবে রান পায়নি তারা। তবে ব্যয়বহুল ষষ্ঠ ওভারে এই ক্যাচ মিসেরই মাশুল দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ষষ্ঠ ওভারে ১৬ রান দিয়েছেন। ২ রানে জীবন পাওয়া রহমানউল্লাহ এরপর ঝড়ো গতিতে রান তুলেছেন জাজাইকে সঙ্গী করে।

জাজাই অবশ্য আরও বেশি বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন। ৩৫ বলে ২ ছক্কা ও ৬টি চারে করেছিলেন ৪৭ রান। দশম ওভারে তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ দলে স্বস্তি ফেরান আফিফ হোসেন। একই ওভারে নতুন নামা আসগর আফগানকেও বিদায় দেন আফিফ। ২ রানে জীবন পাওয়া রহমানউল্লাহ স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করলেও ২৯ রানে তাকে তালুবন্দী করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দ্রুত তিন উইকেট পড়ে গেলে মোহাম্মদ নবীও থিতু হতে পারেননি বেশিক্ষণ। তাকে ৪ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

দ্রুত উইকেট পতনে দিশেহারা আফগানদের বিপদ বাড়িয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ। শুরুতে ক্যাচ মিস করলেও এবার আর রান আউট মিস করেননি। তার দ্রুত গতির থ্রোতে মুশফিক স্টাম্প ভাঙলে ১ রানে ফিরে যান গুলবাদিন নাইব। এরপর ব্যাটিংয়ে শুরুর দাপট ধরে রাখতে পারেনি আফগানরা। দ্রুত উইকেট পতনের মিছিলে এরপর যোগ দেন নাজিবউল্লাহ জাদরান। কিছু শট খেললেও ফুলার লেন্থের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড করেন সাউফউদ্দিন। ১ ছয় মেরে ১৪ রানে ফেরেন তিনি। এরপর করিম জানাতকে মোস্তাফিজের তালুবন্দী করেন শফিউল।