সাকিব-তামিমদের ধর্মঘট, অনিশ্চিত ভারত সফর (ভিডিও)

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন সাকিব। সোমবার সকাল থেকেই গুঞ্জন ছিল মিরপুরে। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত আসতে পারে ক্রিকেটারদের কাছ থেকে। হয়েছেও তাই। ১১ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ক্রিকেটাররা।  

এর মধ্যে জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও অন্তর্ভুক্ত। অবশ্য বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট এর আওতায় এখনো আসেনি। আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি হয়ে সাকিব নিজেই এ কথা জানিয়েছেন, মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দল থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারসহ সবাই এই ধর্মঘটের অন্তর্ভুক্ত। তা আজ থেকেই কার্যকর। এখানে জাতীয় দলের প্রস্তুতি বলেন আর আন্তর্জাতিক বলেন সবগুলোই অন্তর্গত।’

এর ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের ভারত সফর। এ সময় মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালসহ জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররাও উপস্থিত ছিলেন। 

১১ দফা দাবির মধ্যে একটি ঘরোয়া ক্রিকেটে অরাজকতা।  সাকিব এ ইস্যুটি উল্লেখ করে বলেন, ‘এখানে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে কথা হচ্ছে। আমাদের প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শ্রেণি, তৃতীয় শ্রেণির ক্রিকেট কেমন এটা আমরা সবাই জানি। বিভিন্ন সময় পত্রিকায় এসেছে। ম্যাচে যাওয়ার আগে অনেক সময় জানা যায় যে কোন দল জিতবে বা কোন দল হারবে। এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। এটা ঠিক করা খুবই জরুরি।’

ঘরোয়া ক্রিকেটের আম্পায়ারিং নিয়েও সমালোচনা করেন সাকিব, ‘দুটি বা তিনটি ম্যাচে কেউ যদি বাজে সিদ্ধান্তের কারণে আউট হয়ে যায়- তাহলে তার ক্যারিয়ার ওখানেই শেষ হয়ে যায়। আমাদের পাইপলাইন ঠিক করা খুব জরুরি। এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট।’

মেয়েদের সম্পৃক্ত না করার কারণ হিসেবে সাকিব জানান, ‘এখানে আমরা মহিলা ক্রিকেটারদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারিনি। এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করেই নেওয়া। তাদের যদি দাবি দাওয়া থাকে, তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে। আমি নিশ্চিত তাদেরও দাবি আছে। তারা যদি আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তাহলে আমরা বিষয়টা তুলে ধরতে পারবো।’

সামনেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। প্রস্তুতি থাকায় বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটারদের নেওয়া হয়নি বলে জানান সাকিব, ‘যেহেতু অনূর্ধ্ব-১৯ দল আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাই তাদের এখানে অন্তর্ভুক্ত করছি না। বাকি সবাইকে নিয়েই করছি। আমরা জানি সবাই আমাদের সঙ্গে আছে। যতদিন আমাদের দাবি গুলো পূরণ না হচ্ছে ততদিন আমরা ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকছি না।’

বিপিএলই এই আন্দোলনকে উস্কে দিয়েছে।গত মাসে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক মডেল থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় বিসিবি। নিজেদের আয়োজনে সব কিছু করবে এমন সিদ্ধান্ত আসায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ক্রিকেটাররা। কমে যেতে পারে উপার্জন। এমনকি এই মাসে শুরু হওয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ম্যাচ ফি না বাড়াতে বিসিবির ওপর আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন তারা।