দুই ওপেনারকে ফেরালেন আমিনুল

INDM2_1270রাজকোটে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে ১৫৩ রানে আটকে দিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছে ভারত। চাহিদা মিটিয়ে রান তুলেছেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। পাওয়ার প্লের পুরো ফায়দা লুফে নিয়েছেন রোহিত। শত রান পার করা উদ্বোধনী এই জুটি ভেঙেছেন আমিনুল। ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২.২ ওভারে ১২৫ রান।

দুই ওপেনারের মধ্যে রোহিতই সবচেয়ে বেশি ঝড়ো গতিতে ব্যাট করছেন। নিজের শততম ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। সেঞ্চুরির লক্ষ্যেই ছিলেন। তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেছেন আমিনুল। রোহিত ৪৩ বলে ফিরেছেন ৮৫ রানে। তার আগে অবশ্য বিদায় দিয়েছেন শিখর ধাওয়ানকে। দেখে শুনে খেলছিলেন তিনি। লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলামের বলে বেরিয়ে এসে তিনি বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ৩১ রানে।

অবশ্য প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিতের আশায় আশানুরূপ স্কোর পায়নি বাংলাদেশ। শুরুটা দারুণ করলেও দ্রুত উইকেট পতনে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৫৩ রান করতে পেরেছে সফরকারীরা।

প্রথম ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ দারুণ শুরু পায় মোহাম্মদ নাঈমের কল্যাণে। এই ম্যাচেও দারুণ শুরু এনে দিতে ভারতের বোলারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে খেলেছেন। সেই বিপজ্জনক নাঈমকে ফিরিয়ে ইনিংসের মাঝপথে স্বস্তি ফেরায় ভারত। তার বিদায়ের পর পর ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের।

রোহিত শর্মা শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশকে। সফরকারী দলের দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমের আগ্রাসী সূচনায় পাওয়ার প্লেতে ভালো সংগ্রহ পেয়েছিল সফরকারীরা। ৬ উইকেট পড়লে শেষ দিকে মোসাদ্দেক-আমিনুল চাহিদা অনুযায়ী স্কোর বোর্ড সমৃদ্ধ করতে পারেননি। ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক, ৫ রানে আমিনুল।

ব্যাটিং বান্ধব পিচ হিসেবে খ্যাতি আছে রাজকোটের সৌরাষ্ট্র স্টেডিয়ামের। শুরুতে ফিল্ডিং নেওয়ার কারণ হিসেবে রোহিত জানান, পরে শিশির একটা ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে দাঁড়াতে পারে এই ম্যাচে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও জানালেন, টস জিতলে তিনিও শুরুতে বোলিং নিতেন!

ভারতের পক্ষে সেরা বোলিং ছিল চাহালের। ২৮ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। প্রথম ম্যাচের পর খলনায়কে পরিণত হওয়া খলিল আহমেদ আজকেও ছিলেন খুব বেশি ব্যয়বহুল। ৪ ওভারে একটি উইকেট নিলেও দিয়েছেন ৪৪ রান। একটি করে আরও উইকেট নেন চাহার ও ওয়াশিংটন।