চট্টগ্রাম পর্বে আসার পর থেকে দুর্দান্ত খেলছে তারা। দুদিন আগে হওয়া ম্যাচটিও হয়েছিল হাই স্কোরিং। চট্টগ্রামের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ২২১ রান। আজকে টস হেরে ব্যাট করতে নামলে আগের স্কোরকেও টপকে গেছে ইমরুল কায়েসের দল। ওপেনার আভিষ্কা ফার্নান্ডো ঝড়ো সূচনা এনে দিলে বড় স্কোরের মঞ্চটা গড়েছেন ইমরুল কায়েস ও চ্যাডউইক ওয়ালটন। আভিষ্কা ফিরেছেন ২৭ বলে ৪৮ রান করে। ইমরুল ফেরার আগে ঝড়ো গতিতে রান তুলেছেন। ৪১ বলে ৯টি চার ও এক ছয়ে করেছেন ৬২ রান। তার বিদায়ের পর তাণ্ডব চালিয়েছেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। শেষ দিকে কুমিল্লাকে কোনো ছাড়ই দেননি। বিধ্বংসী ভূমিকায় ছিলেন পুরোপুরি। ২৭ বলে অপরাজিত ছিলেন ৭১ রানে। ইনিংসে ছিল ৫টি চারের সঙ্গে ৬টি ছয়ের মার। সঙ্গী হয়ে নুরুল হাসানও কম যাননি। ১৫ বলে ২চার ও ২ ছক্কায় ২৯ রানে অপরাজিত থেকে দলেল স্কোর ৪ উইকেটে ২৩৮ রান করতে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন।
বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নামা কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ৩২ রানে ৩ উইকেট হারালেও তাদের জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন ডেভিড মালান। ঝড়ো গতিতে খেলে একটা সময় সেঞ্চুরির কাছেই ছিলেন। তাকে বিদায় দিয়ে কুমিল্লার জয়ের সম্ভাবনার ইতি ঘটান মেহেদী হাসান রানা। যিনি চট্টগ্রামে দুর্দান্ত বোলিংয়ে নজর কাড়ছেন সবার। বিদায় নেওয়ার আগে মালান ৩৮ বলে ৭টি চার ও ৫টি ছয়ে করেছেন ৮৪ রান।
অবশ্য শানাকা ২১ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে লড়াইয়ের ঝাঁজ তোলার চেষ্টা করেছিলেন শেষ দিকে। দলীয় ১৭৯ রানে তাকেও ফিরতে হয়েছে মুক্তার আলীর বলে বোল্ড হয়ে। আবু হায়দার ১০ বলে ২৮ রানের মিনি ঝড় তুলে হারের ব্যবধান কমিয়েছন মাত্র। শেষ পর্যন্ত কুমিল্লা ৭ উইকেটে করতে পারে ২২২ রান।
আজকেও চট্টগ্রামের সেরা বোলার ছিলেন রানা। ২৮ রানে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। আগের ম্যাচে তিনি ম্যাচসেরা হলেও এই ম্যাচে সেরা হয়েছেন ওয়ালটন।