হারের ২৪ ঘণ্টা পরও গোলের জন্য আক্ষেপ

জেমি ডে। সোনারগাঁও হোটেলে কিছুটা বিষন্ন লাগছিল কোচ জেমি ডেকে। প্রায় দুই বছর হলো দায়িত্বে। কিন্তু তার অধীনে চারটি টুর্নামেন্ট খেললেও সাফল্যের হাসি হাসতে পারেনি লাল-সবুজ দল। সাফ ফুটবল, এসএ গেমস ফুটবল ও দুটি বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ট্রফিবিহীন থাকতে হচ্ছে!সদ্যসমাপ্ত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলে তো বুরুন্ডির কাছে হেরে স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হয়েছে। অথচ এই টুর্নামেন্টে জেতার জন্য কতই না চেষ্টা ছিল বাফুফের। কিন্তু ফাইনালেই যাওয়া হলো না।

সেমিফাইনালে বুরুন্ডির বিপক্ষে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেও গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে গিয়ে খেই হারিয়েছে। বল গোলপোস্টের আশপাশ দিয়ে গেছে।  ডের আক্ষেপ যাচ্ছেই না, ‘আমরা ম্যাচ খারাপ খেলিনি। বল দখলের লড়াইয়ে ৬০ ভাগ এগিয়ে ছিলাম। ১২টির মতো অন টার্গেট ছিল। কিন্তু গোল করা যায়নি। যে কারণে ম্যাচও হারতে হয়েছে। ওরা সুযোগ পেয়ে গোল করেছে।’

২০০৩ সাফ  ও ২০১০ এসএ গেমস ফুটবলের শিরোপার পর বাংলাদেশ আর কোনও ট্রফি জিততে পারেনি। এবার খুব করে চাওয়া ছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ট্রফিটা জেতা। কিন্তু  হলো  না। ডে থাকছেন বাস্তবেই, ‘সবাই ট্রফি জেতার স্বপ্ন দেখে।কিন্তু বাস্তব অবস্থা বুঝতে হবে। যতদিন ঘরোয়া কাঠামোতে পরিবর্তন না আসবে ততদিন সমস্যা থেকেই যাবে। কারণ তো একটাই। আমরা গোল করতে পারছি না।’

বুরুন্ডির বিপক্ষে ম্যাচে শুরুর দিকে চার মিনিটের সময় ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া উরুতে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে যান। তার জায়গায় মাহবুবুর রহমান সুফিল নেমে সুবিধা করতে পারেননি। আগের ম্যাচের জোড়া গোল করা মতিন শেষ পর্যন্ত খেলতে পারলে হয়তো গোলের সম্ভাবনা থাকতো। ডে অবশ্য অন্য কথা বললেন, ‘হয়তো মতিন থাকলে গোল পেতাম। আবার নাও পেতে পারতাম। আমাদের ফরোয়ার্ডরা অনেক সুযোগ পেয়েছে, তা থেকে গোল করতে পারলে আমাদের ফাইনালে খেলার সুযোগ থাকতো।’

শুক্রবার সকালে খেলোয়াড়েরা হোটেল ছেড়েছেন। জেমি ডে ও তার সহকারীরা অপেক্ষায় আছেন ইংল্যান্ড পাড়ি দেওয়ার। হোটেল ছাড়তে ছাড়তে গোলকিপার আশরাফুল রানা ব্যথিত মনে বললেন,‘বুরুন্ডির বিপক্ষে যেভাবে গোল মিস করেছি তাতে ম্যাচ জেতা যায় না। ডিফেন্স থেকে শুরু করে সব পজিসনের খেলোয়াড়েরা যদি নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারতো তাহলে ফল অন্যরকম হতো।’