ছবি এঁকে সময় কাটছে জামালের!

জামাল শুধু ফুটবলই খেলেন না, একটু-আধটু ছবিও আঁকেনএই সময়ে তার থাকার কথা ছিল জাতীয় দলের ক্যাম্পে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলা স্থগিত হয়ে গেছে। প্রিমিয়ার ফুটবল লিগও বন্ধ। হঠাৎ ময়দান থেকে ছুটি মেলায় ফুটবলারদের অনেকেই ছুটিতে গেছেন। আবার কেউ কেউ ক্লাবেই থাকছেন। অনেকটা বিচ্ছিন্ন থাকার মতো। এই দলে পড়েছেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। হঠাৎ ‘অবসর’ পেয়ে জামালের সময় কাটছে একটু অন্যভাবে।

জামালের বাবা-মা থাকেন ডেনমার্কে। স্ত্রী থাকেন জার্মানিতে। ইউরোপের সঙ্গে বিমানযোগে যাতায়াতে কড়াকড়ি আরোপ হওয়ায় ছুটি নিয়ে বাবা-মা অথবা স্ত্রীর কাছে যাওয়ার উপায় নেই । তাই ঢাকায় থেকে ফিটনেস ধরে রাখার জন্য নিয়মিত জিম করছেন। পাশাপাশি ছবি আঁকছেন শখের বশে।

জামালের ছবি আঁকার শখটা পুরোনো। সময় পেলেই রংতুলি আর ক্যানভাস নিয়ে বসে পড়েন। করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যেও একদিন আগে প্রায় সাত থেকে আট ঘণ্টা আপনমনে ছবি এঁকেছেন জামাল। এ নিয়ে প্রশ্ন করতেই বললেন, ‘আগের মতো তো ছবি আঁকার সময় পাই না। মাঝেমধ্যে আঁকি আরকি! এখন একটু সময় পেলাম। ভাবলাম প্লে-স্টেশন খেলবো নাকি ছবি আঁকবো! শেষমেষ রংতুলি নিয়ে বসলাম।’

জামাল মনে করেন করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতার কোনও বিকল্প নেই, ‘ক্লাবে আমরা সচেতনতামূলক অনেক ব্যবস্থাই নিয়ে রেখেছি। বলতে পারেন সেলফ আইসোলেশনের মধ্যে চলে গেছি আমরা। কারণ ছুটি দিয়ে অনেকেই অনেক  দূরে নিজ বাড়িতে যাবে। তখন তারা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এই ভয় থেকেই ক্যাম্পটা বন্ধ হয়নি। আমি মনে করি সবার উচিত অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে নিজের ঘরে অবস্থান করা। এরই মধ্যে অনেক দেশে খেলোয়াড়েরা আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের যাতে একজনও আক্রান্ত না হয়, সে জন্য নিজেদেরই সতর্ক হতে হবে। নিয়ম করে সময় নিয়ে হাত ধুতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।’

তবে ঢাকায় থাকলেও জামালের মন পড়ে আছে ডেনমার্ক ও জার্মানিতে, ‘বাবা-মায়ের বয়স হয়েছে। এ অবস্থায় তাদের জন্য অনেক দুশ্চিন্তা হয়। তারা খুব চিন্তা করেন আমার জন্য। আর বউ তো জার্মানি থেকে প্রতি মুহূর্তে বলে সতর্ক থাকতে, বাইরে না যেতে। খুব ইচ্ছা করে তাদের কাছে যাই। কিন্তু উপায় তো নেই।’