রোমের এক হাসপাতালের ইমিউনোলজিস্ট ফ্রান্সেসকো লে ফোচে করিয়েরে দেল্লোকে বলেছেন, ‘এটা সম্ভব হতেই পারে যে, ভাইরাসটি ছড়াতে বেশ কিছু বিষয় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। আতালান্তা-ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচ তাদের মধ্যে অন্যতম। কারণ ক্লাবটির এমন ফুটবল মৌসুমে উন্মাদনা ছিল সর্বোচ্চ।’
তিনি আরও বলেছেন, এই সময়ে পারস্পরিক দূরত্ব ছিল সেন্টিমিটারের মতো। কেউ কেউ চিৎকার-চেঁচামেচিতে মত্ত ছিল, এমনকি একে-অপরকে কোলাকুলি করাতেও ভাইরাসটি সংক্রমণে পৌঁছেছে।
গত মাসে ইতালির উত্তরাঞ্চল লোমবার্ডিতেই প্রথম ভাইরাসটির প্রকোপ শুরু হয়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাও এটি। আর এই অঞ্চলটির প্রধান শহর মিলান। যে শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই ম্যাচ। আর যে কয়টি শহর এই ভাইরাসে বাজেভাবে আক্রান্ত, এর মধ্য বেরগামো শহর অন্যতম। এখন পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ৫৩৩জনের বেশি। এই অবস্থা মৃতদের সৎকারেও হিমশিম খেতে হচ্ছে ইতালিয়ান সেনাবাহিনীকে। সমাধিক্ষেত্র ভরে যাওয়াতে মৃতদেহগুলো অন্য জায়গায় স্থানান্তর করতে হচ্ছে।
এরই মধ্যে মিলানের সেই সফরের পর ভ্যালেন্সিয়া জানিয়েছে, তাদের স্কোয়াড ও স্টাফদের ৩৫ শতাংশ করোনায় পজিটিভ হয়েছেন। তবে আতালান্তা এখনও এমন কিছু জানায়নি।