২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত সরকার আইসিসিকে কোনও আয়কর ছাড় দেয়নি। এ নিয়ে নাখোশ আইসিসি তখন ভারতীয় বোর্ডের কাছে ওই পরিমান অর্থ দাবি করে ক্ষতিপুরণ হিসেবে। কিন্তু বিসিসিআই আয়কর মওকুফ করাতে পারেনি। আইসিসি এরপরই বিসিসিআইয়ের প্রাপ্য বার্ষিক রাজস্ব থেকে টাকা কাটার কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়। সম্প্রতি সদস্য বোর্ডগুলোকে এমন হুমকিও দেয় যে কর মওকুফ করা না হলে কোনও বোর্ড আইসিসির কোনও ইভেন্ট আয়োজনের সত্ব পাবে না। হুমকিটা আসলে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। কারণ ২০২৩ সালে পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত।
করোনাভাইরাস যেভাবে বিশ্বজুড়ে তার ভয়াল থাবা বাড়িয়েছে, তাতে আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও শঙ্কা জেগেছে। আইসিসির সভায় এটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে আইসিসি আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে আগামী মে মাসে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। আইসিসির প্রধান নির্বাহী মনু সনি বলেছেন, সব সদস্যই বৈশ্বিক এই মহামারি সংশ্লিষ্ট দৃশ্যপট বিবেচনায় নিয়ে সব বিকল্প ভেবে দেখবেন।
আগামী জুলাই মাসে আইসিসির নির্বাচন হওয়ার কথা। আইসিসির বর্তমান ভারতীয় চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর বলছেন এই নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন না। তবে এটা প্রত্যাশিতই যে তিন ‘মোড়ল’ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বোর্ডের বড় ভূমিকা নির্বাচনে থাকবেই।