সরকার চাইলে ‘হোম অব ক্রিকেট’ হবে অস্থায়ী হাসপাতাল

Mirpur-Stadiumসরকার চাইলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম এবং ইনডোর ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করতে দেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক জালাল ইউনুস বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন এমন তথ্য।

পুরো বিশ্বেই মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। ইউরোপের দেশগুলোতে যার ভয়াবহতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বেশি। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি ঠিকমতো মোকাবিলা করতে না পারলে ইতালি-স্পেনের মতোই মৃত্যুপুরী হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ! তবে আক্রান্ত রোগীদের ঠিকমতো চিকিৎসা দিতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এছাড়া অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাসপাতাল নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছেন।

পাশের দেশ ভারতেই সরকারকে সহায়তায় এগিয়ে এসেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। করোনা মোকাবিলায় কলকাতার ইডেন গার্ডেনসকে অস্থায়ী হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক ও বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী। অবশ্য ভারতের মতো বাংলাদেশের অবস্থা এখনও খারাপের দিকে যায়নি। তাই সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোন প্রস্তাব বিসিবিকে দেওয়া হয়নি। তার পরেও সরকার চাইলে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ব্যবহার করতে দিতে এক মুহূর্তও দেরি করবে না বিসিবি।

জালাল ইউনুসও বলেছেন সেই কথা, ‘দেশের সর্বস্তরের মানুষকেই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। যে যেভাবে পারেন, সেভাবেই এগিয়ে আসতে হবে। বিসিবির তরফ থেকেও আমাদের দায়িত্ব আছে। এখনও আমাদের পরিস্থিতি অতটা নাজুক হয়নি। তবে সরকার চাওয়া মাত্র আমরা মিরপুর স্টেডিয়াম দিয়ে দেবো। এমন একটি দুর্যোগ মোকাবিলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

অবশ্য এমন উদাহরণ বিশ্বব্যাপীই রয়েছে। চীনের উহান স্টেডিয়ামের পর দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলও তাদের স্টেডিয়াম ব্যবহার করছে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। বিশ্বখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়াম, সাও পাওলোর পেকাম্বু স্টেডিয়াম ও ব্রাসিলিয়ার মানে গারিনচা স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রেও ওয়াশিংটনের বিখ্যাত সেঞ্চুরিলিংক ফিল্ডকে অস্থায়ী হাসপাতাল বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।