ঘরবন্দি থেকেও ফিটনেস ধরে রাখা সম্ভব: মারুফুল হক

মারুফুল হক।মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সবাই এখন ঘরবন্দি। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না কেউ। একই দশা খেলোয়াড়দেরও। প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রয়েছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের ফিটনেস ধরে রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জের-ই।

এর পরেও সব ক্লাব থেকে খেলোয়াড়দের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। এখন তারা কতটুকু বাস্তবায়ন পারবেন, সেটি দেখার বিষয়। তবে দেশের একমাত্র উয়েফা ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ মারুফুল হক আস্থা রাখছেন সবার ওপর। কারণ জাতীয় দল থেকে শুরু করে অনেক বড় ক্লাবেই কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি মনে করেন, খেলোয়াড়েরা আগের চেয়ে বেশ সচেতন, ‘আগের মতো সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। এখন খেলোয়াড়েরা নিজেদের ফিটনেস নিয়ে ভাবে। কীভাবে সেটি ধরে রাখতে হবে, তা নিয়ে চিন্তা করে। যে কারণে খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখাই যায়। আমার অভিজ্ঞতা অন্তত তাই বলে।’

খেলোয়াড়দের এমন বদলে যাওয়ার কারণ প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা। শেখ রাসেলকে এক মৌসুমে ট্রেবল এনে দেওয়া এই কোচের ধারণা এমনটাই, ‘সবার মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। প্রতিটি ক্লাবে লাইসেন্সধারী কোচ আছে। তারা বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছে। সব মিলিয়ে এই সচেতনটা তৈরি হয়েছে। তবে হ্যাঁ, ফিটনেস সচেতন হওয়া এক বিষয়, আর ফিরে পাওয়া আরেক বিষয়। এখন সচেতন হলেই শুধু হবে না, এটা ধরে রাখতে হলে অনেক কিছু করতে হবে।’

করোনাভাইরাসের কারণে এখন ইচ্ছে করলেই বাইরে গিয়ে অনুশীলন করা যাচ্ছে না। তবে মারুফুল মনে করেন, বাসায় বসেও ফিটসেন ধরে রাখা সম্ভব, ‘এই ছুটিতে অবশ্য ফিটনেস শতভাগ হয়তো ধরে রাখা সম্ভব না। ৫০ থেকে ৭০ ভাগ রাখা সম্ভব। তাহলে এর পরে খেলা শুরুর আগে এক সপ্তাহ বা ১০ থেকে ১২টি সেশনে পুরোপুরি ফিটনেস ফিরে পাওয়া যেতে পারে। আর ছুটির মধ্যে ফিটনেস পেতে ব্যক্তিগত জিম বা অন্য কোন সরঞ্জামেরও প্রয়োজন নেই। ফ্রি হ্যান্ডে অনেক কিছু করা যায়।’