২০২০ টোকিও অলিম্পিক শুরু ২০২১ সালের ২৩ জুলাই

tokyo olympicঠিক ৩৬৪ দিন পিছিয়ে ২০২০ টোকিও অলিম্পিক টোকিওতে শুরু হবে আগামী বছর ২০২১ সালের ২৩ জুলাই। চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। আন্তর্জাতি অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) নির্বাহী বোর্ডের সভায় আজ এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২১ সালে শুরু এই অলিম্পিককেও বলা হবে ২০২০ টোকিও অলিম্পিক।

গ্রীষ্মকালীন মূল অলিম্পিকের পর প্যারালিম্পিক গেমস ২৪ আগস্ট টোকিওতে শুরু হয়ে শেষ ৫ সেপ্টেম্বর যা আগে নির্ধারিত ছিল ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট-৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় গত ২৪ মার্চ আইওসি ২০২০ টোকিও অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে তখনই অলিম্পিকের নতুন সূচিটা ঘোষণা করা হয়নি। সেটি হলো আজ। ঘোষণার পর আইওসির সভাপতি টমাস বাখ বলেছেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে টোকিও ২০২০ অলিম্পিক আয়োজক কমিটি ও টোকিও মেট্রোপলিটন সরকার, জাপান সরকার এবং আমাদের সকল অংশীজনের সঙ্গে মিলে আমরা এই নজিরবিহনী চ্যালেঞ্জটা উতরে যেতে পারবো।’ এই অলিম্পিকের সফল আয়োজন বাখের দৃষ্টিতে সুড়ঙ্গের শেষে আলোর মতো হয়ে ধরা দেবে, ‘মানবজাতি এই মুহূর্তে নিজেদের দেখছে অন্ধকার সুড়ঙ্গে। কিন্তু এই টোকিও অলিম্পিক গেমসই হয়তো সুড়ঙ্গের শেষে দেখাবে আলো।’

অলিম্পিকের নতুন সূচি করতে গিয়ে বিবেচনায় নিতে হয়েছে  এক বছর পিছিয়ে ২০২১ সালে শুরু হতে যাওয়া ২০২০ ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ।  অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপও ২০২১ সাল থেকে এক বছর পিছিয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগনে যা হবে ২০২২ সালের ৬ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট ব্যাপী। বার্মিংহামে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ গেমসও এক বছর পিছিয়ে ২০২২ সালে হবে। চলবে তা ২৭ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত।

অলিম্পিক আয়োজকেরা আশাবাদী যে  সমস্ত বাছাই পর্ব শেষ করার জন্য ক্রীড়াবিদরা পর্যাপ্ত সময় পাবে। আর যে সব ক্রীড়াবিদ এরইমধ্যে অলিম্পিকের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং ‘কোটা প্লেস’ পেয়েছেন তার সবই বহাল থাকবে। টোকিও ২০২০ অলিম্পিক আয়োজক কমিটির প্রধান ইয়োশিরো মোরি বলেন, ২৩ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট ব্যাপী নতুন সময়সূচিটা আইওসির কাছে প্রস্তাব করেন এবং অন্য সব ক্রীড়া ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে বাখ তাতে সম্মতি দেন।

আধুনিক অলিম্পিকের ১২৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনও গেমস পেছালো। এর আগে যদিও বিশ্বযুদ্ধের কারণে তিনটি  অলিম্পিক বাতিল হয়েছে। প্রথমটি ১৯১৬ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে, দ্বিতীয় ও তৃতীয়টি ১৯৪০ ও ১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে।