এই সময়ে রেফারিরাও ফিটনেস সচেতন

ফিটনেস ধরে রাখতে হচ্ছে রেফারিদেরওমাঠে খেলছেন দুইদলের খেলোয়াড়েরা। ২২ জনের খেলার মাঝে আরও তিনজন আছেন। যারা তাদের সঙ্গে প্রায় সমান তালে দৌড়ানোর চেষ্টা করেন। এই তিনজন হরেন রেফারি। যারা ম্যাচটি আইন-কানুন অনুযায়ী সফলভাবে শেষ করতে ভূমিকা রাখেন। করোনাভাইরাসের কারণে ফুটবলাররা যেমন ফিটনেস ধরে রাখতে লড়ছেন, তেমনি রেফারিরাও ঘরে বন্দি থেকে চেষ্টা করছেন নিজেদের ফিট রাখার।

এমনিতে অবশ্য খেলোয়াড়দের মতো রেফারিদের সেভাবে সুযোগ-সুবিধা নেই। ক্লাবে থেকে একজন খেলোয়াড় যেভাবে নিজেকে ফিট রাখতে পারেন, রেফারিদের তা করতে হয় নিজস্ব উপায়ে। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা আশপাশের মাঠই ভরসা। ফিটনেস বাড়াতে বা ধরে রাখতে কেউ কেউ জিমনেসিয়ামেও যান।

তবে এবার করোনাভাইরাসের কারণে ঘরে বসেই নিজেদের ফিট রাখার প্রাণান্তকর চেষ্টা চলছে রেফারিদের।  ৯০ মিনিটের ম্যাচে একজন খেলোয়াড়কে কমবেশি ১০ কিলোমিটার দৌড়াতে হয়। সেখানে ম্যাচ পরিচলানা করতে একজন রেফারিকে ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার দৌড়ানো লাগে।

তাই ম্যাচে তাদের ফিটনেসটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই করোনাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। এমনকি বাইরে গিয়েও অনুশীলন করা কঠিন। তাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগে কর্মরত ফিফা রেফারি সুজিত ব্যানার্জীকে বেছে নিতে হয়েছে নিজের বাসাকেই। সুজিতের মতে,  ১৫ মিটার বাই ১৫ মিটার কিংবা ২০-২০ মিটার রুম হলেই নিজস্ব উপায়ে অনুশীলন সম্ভব।করোনা পরিস্থিতিতে এই রেফারি নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমরা যারা রেফারি আছি তাদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা এলাকার আশেপাশের মাঠে অনুশীলন করে থাকি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমও ব্যবহার করি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে নিজের ঘরকে অনুশীলনের ভেন্যু বানিয়ে নিয়েছি। এর জন্য অবশ্য বাড়তি কিছুর দরকার পড়ছে না। ফ্রি হ্যা্ন্ড ট্রেনিং, জগিং, স্ট্রেচিং কিংবা ক্ষিপ্রতা ট্রেনিং বাসায় বসে সম্ভব। আমি নিজেও তা করছি।’

মাঠে রেফারিংয়ের পাশাপাশি ফিফা ইন্সট্রাক্টর হিসেবেও কাজ করেন সুজিত। করোনা-সঙ্কটে কী করতে হবে সব রেফারিদের বলেও দিয়েছেন, ‘ফিফার দেওয়া  নিয়ম-কানুন ফলো করতে বলেছি। এছাড়া বাসায় বসে কীভাবে নিজেকে ফিট রাখা যায় সেটাও বলা হয়েছে, যাতে লিগ যে কোনও সময় শুরু হলে পুরোপুরি ফিট হয়েই মাঠে নাম সম্ভব হয়।’

আগের চেয়ে রেফারিদের দায়িত্ব আর বেড়েছে বলে মনে করেন একসময় শেখ রাসেল ও ওয়ারি ক্লাবে খেলা এই ফুটবলার, ‘আগের চেয়ে লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়েছে। ফুটবলে অনেক নিয়ম-কানুনও আছে। সব মিলিয়ে আমাদের সবদিক নিয়ে সচেতন থাকতে হয়। কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবেই। সেটা মেনে নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে।’