করোনাভাইরাস জীবন পাল্টে দিয়েছে পৃথুলের

চীনে এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করতেন পৃথুল। চীনের বিভিন্ন প্রদেশে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন টেনিস কোচ কাজ করে থাকেন। তাদের মধ্যে অন্যতম দুইবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হেনরি পৃথুল মণ্ডল। করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে জানুয়ারির শেষ দিকে সাংহাই থেকে দেশে ফিরে আসেন। অবশ্য দেশটিতে এর প্রকোপ কমে এসেছে। এখন পৃথুল কর্মস্থলে ফিরে যেতে চাইলেও যেতে পারছেন না। কারণ সেখানে বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। যেটি প্রভাব ফেলেছে পৃথুলের কর্মজীবনে।

এতদিন কর্মময় জীবন-ই পার করেছেন চীনে। করোনাভাইরাসের কারণে এখন রাজশাহীর বাসায় শুয়ে-বসে সময় কাটাতে হচ্ছে তাকে। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থলও চীনের উহান প্রদেশ। সেখান থেকে ভাইরাসটি থাবা বসিয়েছে বাকি দেশগুলোতে। চীনে থাকায় এই ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে বেশ ভালো করেই জানতেন পৃথুল। তাই একটু সাবধানি ছিলেন বলে জানুয়ারিতে ছুটি নিয়ে চলে আসেন বাংলাদেশ। মার্চের ৩১ তারিখে তার ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল।

দেশেই এখন লকডাউন চলতে থাকায় কবে কর্মস্থল চীনে যেতে পারবেন, এ নিয়ে পড়েছেন গভীর সংশয়ে। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘চীনে তখন এর প্রকোপ মাত্রই শুরু হয়েছে। তাই ছুটি কাটাতে দেশে চলে আসি। এখন সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের দেশ সংক্রমণের মাঝে রয়েছে। কখন কার কী হয়, তাই ঘরে থাকতে হচ্ছে সবাইকে। এই অবস্থায় ৩১ মার্চ ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও, তা আর হচ্ছে না। কবে যেতে পারবো, সেটাও জানি না।’

ডেভিস কাপ, আইটিএফ টেনিসে বাংলাদেশের হয়ে সাফল্য পেয়েছিলেন হেনরি পৃথুল মণ্ডল। ২০১৩ সালে প্রথম কোচ হিসেবে যান চীনের গুয়াংজুতে। সেখানে তিন বছর কাজ করে কর্মস্থল পরিবর্তন করে যান সাংহাইতে। সেখানকার বাচ্চাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভালোই দিন কাটছিল তার। কিন্তু করোনাভাইরাস সবকিছু বদলে দিয়েছে। এখন বাংলাদেশ থেকেই নিয়মিত ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন পৃথুল, ‘নিয়মিত আমার ছাত্রদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। সাংহাই বর্তমানে নিরাপদ শহর, সেখানে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে আমি কাজে যোগ দিতে পারছি না। ঘরে এখন বন্দী অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। আতঙ্কে আছি, কবে পরিস্থিতি ঠিক হবে জানি না। এভাবে ঘরে থাকতেও আসলে ভালো লাগছে না।’