তিন ভেন্যুতে তিন সপ্তাহের দর্শকশূন্য আইপিএল চান পিটারসেন

কেভিন পিটারসেনঅলিম্পিক পিছিয়ে গেছে এক বছর। এতেই ২০২০ সালটা হয়তো আগামী ১০০ বছর নিদারুণ স্মৃতির উপকরণ হয়ে থাকবে উত্তর প্রজন্মের কাছে। করোনাভাইরাস মহামারি আরও অনেক বৈশ্বিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাই স্থগিত করে দিয়েছে বা বাতিল করে দিয়েছে। কিন্তু টাকাওয়ালা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে এখনও এ বছরই মাঠে নামানোর উপায় খুঁজেই চলেছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট সব সম্প্রদায়।

মূল সূচি অনুযায়ী গত ২৯ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৩তম আইপিএল। কিন্তু তার আগেই করোনাভাইরাস ভয়াল রূপে এসে যায় পৃথিবীতে এবং ওটাকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস যে মৃত্যু ও ধ্বংসের ভয়াল ছবি নিয়ে উপস্থিত, তাতে প্রায়ই বলা হচ্ছে যে আইপিএলের এবারের ভবিষ্যৎ সূক্ষ্ম সুতোর ওপর ঝুলে রয়েছে। তবে এটাও সত্য যে বিসিসিআই ও ফ্রাঞ্চাইজিগুলো এখনও আশায় আছে যে আইপিএল কোনও না কোনওভাবে হবেই। আর এজন্যেই অপেক্ষা করা হচ্ছে, অন্তত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সেই অপেক্ষা সম্ভবত চলবেই।

সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন আইপিএলর বিরাট ভক্ত। তিনি মনে করেন আইপিএল কোনও না কোনওভাবে অবশ্যই হওয়া উচিত, ‘আমরা বলতে পারি জুলাই-আগস্ট একটু আগে আগেই হয়ে যায়। তবে আমি সত্যিই বিশ্বাস করি আইপিএলটা হওয়া উচিত। আমি এটাও বিশ্বাস করি যে মৌসুম শুরুর জ্বালানিই হওয়া উচিত আইপিএল। সারা বিশ্বের প্রতিটি ক্রিকেটার আইপিএল খেলার জন্য মরিয়া হয়ে আছে।’ করোনা ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে আইপিএল হতে পারে সেটির একটি রূপরেখাও দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক দীর্ঘদেহী অধিনায়ক, ‘ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর কাছে কীভাবে টাকা আসবে আর কীভাবে পুরো অর্থনীতিতে তা যোগ হবে সেটির একটি পথ বের করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে আমার মনে হয় তিনটি মাত্র ভেন্যুতে তিন বা চার সপ্তাহে টুর্নামেন্টটা করা যেতে পারে। ভেন্যুগুলো  দর্শকদের জন্য পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।’

পিটারসেন মনে করেন এই সংকটময় মুহূর্তে দর্শকদরে ঘরে বসে টেলিভিশনে আইপিএল দেখাটাই ভালো সমাধান, ‘দর্শকদের বোঝা উচিত যে এই মুহূর্তে সরাসরি মাঠে গিয়ে খেলা দেখা সম্ভব নয়। খুব নিকট ভবিষ্যতেও সেটি সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। তারপরও আপনি এ সময় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ দেখতে পারবেন, তাই না?’

বিসিসিআই অবশ্য আইপিএল আয়োজনের জন্য এখন অক্টোবর-নভেম্বর সময়টার দিকে তাকাচ্ছে। তবে সেটা তখনিই সম্ভব হবে যখন ওই সময় অস্ট্রেলিয়ায় নির্ধারিত ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি। আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজিগুলো সরকারের নতুন কোনও নির্দেশনা সাপেক্ষে ১৪ এপ্রিল বা তার পরে কোনও একসময় পরবর্তী বৈঠকে বসবে বলে ঠিক করেছে।