পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে শুনতে হলো গালি

রুমানা আহমেদগত মৌসুমে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের হয়ে ঢাকা ক্রিকেট লিগে খেলেছিলেন রুমানা আহমেদ। সাত লাখ টাকায় চুক্তি হলেও পেয়েছিলেন মাত্র তিন লাখ টাকা। বাকি টাকা বার বার চেয়েও পাননি বাংলাদেশ নারী দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। উল্টো গালিগালাজ শুনতে হয়েছে এই অলরাউন্ডারকে।

শুধু রুমানাই নন, শেখ রাসেলে খেলা শায়লা শারমিন, সুলতানা ইয়াসমিন, ইতি মন্ডলসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার টাকা পাননি। লিগ চলাকালীন সময়ে ক্রিকেটারদের একবার পারিশ্রমিকের কিছু অংশ দেওয়া হয়েছে।  এক বছর পার হয়ে গেলেও পর্যন্ত ক্রিকেটারদের পাওনা টাকার বাকিটা আর পরিশোধ করেনি দলটি। শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের সভাপতি কেএম শহীদুল্লাহর সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা করেন রুমানা। কিন্তু দেবো, দিচ্ছি বলেই সময় পার করেন এই কর্মকর্তা।

গত মৌসুমে রুমানার হাত ধরেই দল গঠন করেছিল শেখ রাসেল। ফলে পাওনা টাকা আদায়ের দায়িত্বটা রুমানারই একটু বেশি ছিল। গত মাসে পারিশ্রমিক চাইতে গিয়ে বাজে ব্যবহারের শিকার হয়েছেন বলে জানান রুমানা, ‘আমার সাথে ৭ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছিলো। যার মধ্যে ৩ লাখ টাকার মতো পেয়েছিলাম। এই টাকা আদায়ে ক্লাবের কাছে বহুবার গিয়েছি। দেবো, দিচ্ছি করে এখনও দেয়নি। শুধু আমার সঙ্গেই নয়, অনেক ক্রিকেটার টাকা পায়নি। গত মাসে আমি ম্যানেজারের নম্বরে ফোন দিয়ে টাকা চাইলে আমার সঙ্গে খুব বাজে ব্যবহার করা হয়। এক পর্যায়ে খুব বাজে ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। নিজের পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে এমন আচরণের শিকার হওয়া সত্যিই হতাশাজনক।’

রুমানা অবশ্য বিসিবিতেও অভিযোগ করেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই বিসিবির প্রধান নির্বাহীর কাছে আমি লিখিতভাবে সব ক্রিকেটারের নামসহ কে কত টাকা পাবে  উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছিলাম। যেহেতু এই মুহুর্তে সব বন্ধ, তাই গত এপ্রিলের ঘটনায় নতুন করে অভিযোগ করতে পারিনি।’ এ ব্যাপারে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের মেয়েদের ক্রিকেট ম্যানেজার জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাজে ব্যবহার করার কথা অস্বীকার করেন, ‘আমি বাজে ব্যবহার করিনি। আমাদের বাজেটে সমস্যা হওয়ার কারণে আমরা সময়মতো টাকা দিতে পারিনি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবার সব টাকা পরিশোধ করে দেওয়া হবে।’