হলিফিল্ডের সঙ্গে টাইসন প্রথম লড়াইয়ে নামেন ১৯৯৬ সালে। ওটা ছিল তার ওয়ার্ল্ড বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউবিএ) শিরোপা রক্ষার লড়াই। হলিফিল্ড ১১ রাউন্ডে গিয়ে বাউটটি জেতেন টেকনিক্যাল নকআউট (টিকেও) সিন্ধান্তে। কিন্তু টাইসন অভিযোগ করেন পুরো বাউটে হলিফিল্ড তাকে ঢুঁস মেরে গেছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আবার দুজনের লড়াই হয় পরের বছর।
১৯৯৭ সালের লড়াইটা টাইসনের কাছে ছিল প্রতিশোধের। কিন্তু বক্সিং রিংয়ে এই আমেরিকান তার প্রতিপক্ষ আমেরিকান বক্সার হলিফিল্ডের কানে দুইবার কামড় দিয়ে খানিকটা ছিড়ে ফেলে দেন। এই বাউটের জন্য টাইসনের প্রাপ্তিযোগ ছিল ৩০ মিলিয়ন ইউএস ডলার অর্থাৎ ৩ কোটি ইউএস ডলার। কিন্তু তাকে ৩ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩০ লাখ ইউএস ডলার জরিমানা করে নেভাডা স্টেট কমিশন।
ঘটনাটা তিনি এখনও স্মরণ করেন কি না-সম্প্রতি তার নিজের পডকাস্ট হটবক্সিন থেকে এরকম প্রশ্ন করা হলে টাইসন বলেন, ‘একটুও না। আমি কখনও এটা নিয়ে ভাবিনি।’
‘তুমি কি জানো কোন বিষয়টি আমার মনে পড়ে? আমার এখনও মনে পড়ে একজনের কান কামড়ে নেওয়ায় যে ৩ মিলিয়ন ডলার আমি হারিয়েছিলাম, তার চেয়ে কত বেশি টাকা আমি কামিয়েছি। এটা অদ্ভুত না?’-উল্টো প্রশ্ন করেছেন টাইসন।
ক্রীড়া ইতিহাসে এই মুহূর্তটি কুখ্যাত হয়ে আছে চিরদিনের জন্য। প্রতিপক্ষের কান কামড়ে নেওয়ায় টাইসনের বক্সিং লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল। লাইসেন্স বাতিল করার পরের সময়ে টাইসন ডব্লিউডব্লিউই’র (ওয়ার্ল্ড রেসলিং এনটারটেইনমেন্ট) একটি ইভেন্টে ‘গেস্ট এনফোর্সার’ (গেস্ট রেফারি) হিসেবে উপস্থিত হয়ে ৩০ লাখ ডলার আয় করেছিলেন। আয় হয়েছিল আরও। বারবার ওই কান কামড়ানোর ছবি দেখানোয় এসেছিল টাকা, এটা এখনও খুব মজার মনে হয় ৫৩ বছর বয়সী সাবেক বক্সারের কাছে, ‘এটা আমার কাছে খুব মজার মনে হয়। কান কামড়ানোর জন্য যত না জরিমানা হয়েছিল আমার তার চেয়ে কয়েকগুন কামিয়েছি ওই কান কামড়ানোর ছবি থেকে।’