পাকিস্তানের দৈনিক ডনের খবর, পিসিবি একটি নিরপেক্ষ বিচারক প্যানেল নিয়োগ দেবে ১৫ দিনের মধ্যে। এক মাসের মধ্যেই সেই রায় হওয়ার কথা। আকমল নিশ্চয়ই আশায় বুক বেঁধে আছেন, রায় অনুকুলে আসবে, সাজা মওকুফ হবে। এত দ্রুতই তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে যবনিকা পড়বে না। এখন বয়স ২৯, তিন বছর সাজা খাটলে বয়স হয়ে যাবে ৩২, একজন ক্রিকেটারের জন্য যা উজান-যাত্রা।
পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান কামরান আকমলের ছোট ভাই উমর পাকিস্তান দলে এসেছিলেন অনেক প্রতিশ্রুতি নিয়ে। কিন্তু নিজের খেয়ালিপনা ও উদ্ধত মেজাজের কারণে সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এগোতে পারেননি। না হলে তার নামের পাশে ১৬ টেস্ট, ১২১ ওয়ানডে এবং ৮৪ টি-টোয়েন্টি নয়, আরও বেশি ম্যাচই লেখা থাকতো। গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সুপার লিগ শুরুর প্রাক্কালে তার কাছে জুয়াড়িরা দুই দফা ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে বলে দাবি করে পিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট। উমর এটি অস্বীকার করেন। কিন্তু ৯ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের পরও তিনি শুনানিতে কোনও আইনজীবী নিয়োগ দেননি। অবশেষে নিষিদ্ধই হতে হয় থাকে।
বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান যে গত বছর অক্টোবরে নিষিদ্ধ হলেন, সেটিও এমন এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে। জুয়াড়িরা তার কাছে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তিনি বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগকে সেটি জানাননি! সাকিব অবশ্য দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় শাস্তি পেয়েছেন কম। দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা, যার মধ্যে এক বছর স্থগিত।
অবশ্য খ্যাতির বিচারে উমর আকমল সাকিবের চেয়ে অনেক পেছনে। আর আকমল স্বীকারই করছেন না তার অপরাধ। তার সাজা কমবে কি না সেটি দেখা যাবে আগামী মাসেই।