৯ মার্চ নিজেদের মাঠে অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে নিজেদের সর্বশেষ লিগ ম্যাচ খেলার দুই সপ্তাহ পর করোনা উপসর্গে কাতর হয়ে পড়েন রজার্স এবং এরপরই ধরা তার করোনা। শুক্রবার বিবিসি রেডিও লেস্টারকে রজার্স বলেন, ‘আমার খুব খারাপ লাগতো এবং পরে শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। আমার এক সপ্তাহ পর আমার স্ত্রীরও করোনা ধরা পড়ে। তিন সপ্তাহ ধরে করোনা প্রভাব ফেলে আমাদের শরীরে। অন্য অনেকের মতোই খারাপ অবস্থা আমাদের হয়নি, তবে আমরা তিন সপ্তাহ ধরে কোনও খাবারের স্বাদ ও গন্ধ পাচ্ছিলাম না। গায়ের শক্তিও হারিয়ে ফেলি আমরা। সুতরাং এখন বলতে পারি এই অনুভূতিটা কেমন ছিল। খুব কঠিন দিন গেছে।’
কেমন দুর্বল বোধ করতেন সেই অনুভূতি বর্ণনা করতে গিয়ে ৪৭ বছর বয়সী কোচ টেনে এনেছেন আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো পাহাড়ের চড়ার প্রসঙ্গ, ‘আমি ঠিকমতো হাঁটতেই পারতাম না। এটা আমাকে মনে করিয়ে দিতো কিলিমাঞ্জারোতে হেঁটে ওঠার কথা। প্রথম দিকে আমি একটু দৌড়ানোর চেষ্টা করতাম, কিন্তু ১০ গজ যাওয়াটাই ছিল কষ্টের।’
সোয়ানসিকে ২০১১ সালে চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফ জিতিয়ে প্রিমিয়ার লিগে তুলে দেওয়ার পর রজার্স আফ্রিকার সবচেয়ে উঁচু পর্বত কিলিমাঞ্জারো অভিযানে যান একটি দাতব্য কাজের অংশ হিসেবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬ হাজার মিটার উঁচু ওই পাহাড় চূড়ায় সফলভাবে ওঠেনও লিভারপুলের সাবেক কোচ।
করোনামুক্ত হয়ে রজার্স আবার তার সেরা অবস্থায় ফিরে এসেছেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে দলবদ্ধভাবে অনুশীলন শুরু হয়েছে আবার লেস্টার সিটির। তিনি সন্তুষ্ট যে সর্বোচ্চ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই শুরু হতে যাচ্ছে অসমাপ্ত প্রিমিয়ার লিগ। তবে তার দলের কোনও খেলোয়াড় যদি নিজেকে সুরক্ষিত মনে না করেন, তাকে জোর করে অনুশীলনে তিনি আনবেন না।
লিগ আবার শুরু হতে যাওয়ার মুহূর্তে কী লক্ষ্য রজার্সের? ২৯ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে লেস্টার। চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার টিকিট পেলেই তিনি মনে করবেন ‘স্বপ্নপূরণ হয়েছে’, আর সেটি হবে তার জন্য ‘অসাধারণ’ অর্জন।