তাসমান সাগরের ওপারের প্রতিবেশী দেশটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কেন হতে পারে, সেটির সপক্ষে জোন্সের সরল যুক্তি, নিউ জিল্যান্ড কোভিড-১৯ মহামারিকে প্রায় বাগে এনে ফেলেছে এবং আস্তে-ধীরে দেশটি স্বাভাবিক পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে। গত ১২ দিনে দেশটিতে নতুন করে কারও করোনা আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড নেই, আর পুরোনো কেসও মাত্র একটি।
দেশের সতর্কসংকেত ১ নম্বরে নামিয়ে আনা হবে কি না সে ব্যাপারে নিউ জিল্যান্ডের মন্ত্রী পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সোমবার। তাতে গণজমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হতে পারে। যা আরোপিত হয়েছিল করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর, যাতে বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে পৌনে চার লাখেরও বেশি মানুষের।
কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা খুব কম থাকলেই সতর্কসংকেত ১-এ নামিয়ে আনা হতে পারে বলে নিউজিল্যান্ড স্টাফ ডট কো ডট এনজেডকে ইঙ্গিত দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ‘যদি, এবং যদি আর কোনও অপ্রত্যাশিত সংক্রমণ কেস না পাওয়া যায়…।’
এটি জেনেই জোন্স টুইট করেছেন, ‘জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন সতর্কসংকেত পরবর্তী সপ্তাহে ১-এ নামিয়ে আনা হতে পারে। যার অর্থ সেখানে সবরকম সামাজিক দূরত্ব ও জনসমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হতে পারে। টি-২০ বিশ্বকাপ কি সেখানেই হতে পারে তাহলে?’
এর আগেই বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় এই ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার স্পোর্টসস্ক্রিন ইউটিউব পেজে বলেন, ‘অনেক কারণেই অস্ট্রেলিয়ায় এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে না।’
সূচিমতো নিউজিল্যান্ডে যদি হয়, সেটি আলাদা কথা। তবে টি-২০ বিশ্বকাপ না হলে এটি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে (বিসিসিআই) তার ১৩তম আইপিএল আয়োজনের জানালা খুলে দেবে। সারা বিশ্বের শীর্ষ ক্রিকেটারদের রোজগারের বড় উৎস এই আইপিএলের পথনির্দেশিকা বিসিসিআই নাকি সাজিয়েও রেখেছে।