আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে তামিম-মুশফিকরা

আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে তামিম-মুশফিকরা।ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অনেকের বাড়ি-ঘর, সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন অনেকে। এমন অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। উপকূলীয় অঞ্চলে যাদের বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে, তাদের ঘরবাড়ি পুনরায় নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। এর সঙ্গে ব্যবস্থা করেছেন সুপেয় খাবার পানিরও। 

সুপেয় পানি সরবরাহ করতে আপাতত ৫ হাজার লিটার পানি বহনের জন্য ৪টি ১ হাজার লিটার ও ২টি ৫শ’ লিটারের ট্যাঙ্ক উপহার দিয়েছেন তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমরা। যা দিয়ে দৈনিক অন্তত ১ হাজার পরিবারের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা যাবে।

বেসরকারি সংস্থা ফুটস্টেপের মাধ্যমে তামিম, মুশফিক, মাশরাফি ও মাহমুদউল্লাহরা এ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। এভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক মূল্যবোধের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ক্রিকেটাররা।

তাই জাতীয় দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফুটস্টেপ বলেছে, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পান দ্বারা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিধ্বস্ত বাড়িগুলো পুনর্নির্মাণে সাহায্যের হাত এগিয়ে দেওয়াতে আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ ও উচ্ছ্বসিত। তাদের সহায়তায় অনেক পরিবারেরই আর নিরাপদ আশ্রয় ছাড়া ঘুমানোর চিন্তা করতে হবে না। টাইগারদের অসংখ্য ধন্যবাদ, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের জীবিকা পুনরুদ্ধারে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য।’

এ ব্যাপারে তামিম ইকবাল সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা আমাদের বেতনের অর্ধেক দিয়ে ২৫ লাখ টাকার যে তহবিল তৈরি করেছিলাম, ওই টাকার কিছু অংশ যাদের বাড়ি ভেঙে গেছে, তাদের দান করেছি। যাতে তারা বাড়ি তৈরি করতে পারে। এটা 'ফুটস্টেপে'র সঙ্গে করেছি কারণ আমি ওদের চিনি, আরও জানি যে ভালোভাবেই তারা কাজটা করবে। আমাদের পক্ষে তো আর ওখানে গিয়ে বাড়ি-ঘর তৈরি করে দেওয়া সম্ভব নয়। কারো মাধ্যমে তো যেতেই হবে।’

তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘তার পরে আমরা ৬-৭ হাজার লিটারের কয়েকটি পানির ট্যাঙ্ক পাঠিয়েছি। কারণ ওখানে সুপেয় পানির খুব সমস্যা। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত পানি উঠে যাওয়ার কারণে মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না। আমাদের বাংলাদেশ দলের সবার পক্ষ থেকে এই সহযোগিতা করা হয়েছে।'