দুইদিন ধরে কিছুটা পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন মানিক। কলাবাগানের বাসাতেই ছিলেন। আজ আকস্মিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মৃদুভাষী মানুষটি ।
মানিক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) তৃণমূল পর্যায়ের কোচ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার ঘনিষ্ঠজন আরেক সাবেক ফুটবলার জাবিদ হোসেন অপু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘ও খুব চাপা স্বভাবের ছিল। দুই দিন আগে কথা হয়েছিল। বলছিল, পেটে সমস্যা। আমাদের কোচদের একটি সভা হওয়ার কথা ছিল শনিবার। সেখানে ও আসতে পারেনি। তবে আমার মনে হয় ওর করোনা উপসর্গ ছিল। যা আমাদের কাছে বলেনি। যদিও আমরা জেনেছি ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছে। সাধারণত ও কথা বলতো কম। কাউকে কোনও সুযোগ না দিয়েই চলে গেল।’ অবশ্য রাতে বাফুফের আরেক তৃণমূলের কোচ মাহবুব আলম নিশ্চিত করেছেন মৃত্যুর পর নুরুল হক মানিকের করোনা টেস্টের যে রিপোর্ট এসেছে তাতে পজিটিভ পাওয়া গেছে।
নুরুল হক মনিকের বর্নাঢ্য ক্যারিয়ার। কুশলী মিডফিল্ডার হিসেবে ঢাকার মাঠে তার খ্যাতি ছিল। ’৮০-র দশকের মাঝামাঝি আরামবাগ ক্রীড়াসংঘের জার্সি গায়ে ঢাকার শীর্ষস্তরে খেলা শুরু। ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুল, ব্রাদার্স ইউনিয়ন হয়ে মোহামেডানে এসে খেলেছেন টানা পাঁচ বছর। সাদা-কালো দলটির অধিনায়কত্বও করেছেন। এছাড়া জাতীয় দলে পদচারণা করেছেন সুনামের সঙ্গেই। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত খেলেছেন দাপটের সঙ্গে।
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে একপর্যায়ে কোচিংয়ে আসেন। ২০০৭ সাল থেকে বাফুফের কোচ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছিলেন তিনি।
মানিকের মৃত্যুতে বাফুফে, সোনালী অতীত ও ফুটবল কোচেস অ্যাসোসিয়েশন শোক প্রকাশ করেছে।