পেছালো টেনিসের বিশ্বকাপ, পিকের মন খারাপ

টেনিসের ২০১৯ বিশ্বকাপ জয়ী স্পেন দল। ছবি: টুইটারমেয়েদের দলগত টেনিস প্রতিযোগিতা ফেড কাপ এক বছর পিছিয়ে আগামী বছরের এপ্রিলে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা এলো দিনের প্রথম দিকে। আর দিনের দ্বিতীয়ার্ধে ডেভিস কাপ এক বছর পেছানোর ঘোষণা দিলো আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন (আইটিএফ)। এই সময়ে কারণ কী হতে পারে সবাই বুঝতে পারেন, করোনাভাইরাস। কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির একটু উন্নতি হওয়াতে ফুটবল সহ অন্য কয়েকটি খেলা যখন মাঠে নেমেছে বা নামার উদ্যোগ নিচ্ছে, তখন টেনিস যেন একটু পেছন দিকে হাঁটছে।

বিশ্বের শীর্ষ পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় নোভাক জোকোভিচ সার্বিয়া ‍ও ক্রোয়েশিয়ায় আদ্রিয়া ট্যুর আয়োজন করতে গিয়ে করোনভাইরাসের সংক্রমণ ঘটিয়ে বেশ শঙ্কার মধ্যেই ফেলে দিয়েছেন বিশ্ব টেনিসকে।

পুরুষ দলগত টেনিস প্রতিযোগিতা ডেভিস কাপ ফাইনালস টানা দ্বিতীয়বারের মতো এ বছর নভেম্বরে হওয়ার কথা ছিল মাদ্রিদে, আইটিএফ আজ শুক্রবার সেটিই পিছিয়ে ২০২১ সালের নভেম্বরে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

প্রতিযোগিতাটি পেছাতে ভালো লাগেনি আইটিএফের। বর্তমান বাস্তবতায় না পিছিয়ে কিছু করারও নেই। তবে প্রতিযোগিতা পেছানোয় আইটিএফের সঙ্গে সমানভাবে ব্যথিত বার্সেলোনার স্প্যানিশ ফুটবল তারকা জেরার্ড পিকে। তার প্রতিষ্ঠান কসমস টেনিস কোম্পানি যে এই টুর্নামেন্টে দীর্ঘমেয়াদে অনেক টাকা বিনিয়োগ করেছে। যৌথ বিবৃতিতে আইটিএফ ও কসমস কোম্পানি জানিয়েছে, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই হতাশার যে ডেভিস কাপ ফাইনালস ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। আমরা জানি না কোয়ালিফাই করা প্রতিটি দেশের পরস্থিতি কী দাঁড়ায়। আবার স্পেনের পরিস্থিতিও নভেম্বরে যথেষ্টই ভালো থাকে কি না। আবার মাদ্রিদে যারা ভ্রমণ করতে আসবে তাদের সুরক্ষার নিশ্চয়তাও দেওয়া যায় না।’

আইটিএফের সঙ্গে কসমস ২৫ বছরের চুক্তিতে যুক্ত হয়েছে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে। সংশোধিত আদলে খেলা হচ্ছে ডেভিস কাপ। এটিকে বলা হচ্ছে টেনিসের বিশ্বকাপ। জয়ী দলকে বলা হয় টেনিসের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। স্পেন যেমন নতুন ফরম্যাটে গত বছর ডেভিস কাপ জিতে হয়েছে টেনিসের নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। এখানে চূড়ান্ত পর্বে, যেটিকে বলা হয় ডেভিস কাপ ফাইনালস, ১৮টি  দেশ কোয়ালিফাই করে। তিনটি করে দল ছয় গ্রুপে ভাগ হয়ে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতি খেলে চূড়ান্ত পর্ব। আগের ‘বেস্ট অব ফাইভ’ ম্যাচের পরিবর্তে ‘বেস্ট অব থ্রি’ ভিত্তিতে খেলা হয়। ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে সেরা দুটি রানার্স-আপ দল খেলে কোয়ার্টার ফাইনালে। তারপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে প্রতিযোগিতা শেষ হয় সাত দিনেই।