সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলে আফ্রিদি বলেছেন, একটা সময় প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারাতে হারাতে তারা এতটাই ক্লান্ত করে তুলেছিলেন যে ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাদের কাছে মাফ চাইতেন। ‘আমি সবসময় ভারতের সঙ্গে খেলাটা পছন্দ করেছি। আমরা তাদের বহুবার হারিয়েছি। আমার মনে হয়ে তাদের আমরা এত হারিয়েছি যে ম্যাচ শেষে তারা আমাদের কাছে মাফ চাইতো (উনহে তো ঠিক-ঠাক মারা হ্যায় হামনে। ইতনা মারা হ্যায় উনহে কি ম্যাচ কে বাদ মাফিয়া মাঙ্গি হ্যায় উনহোনে)। আমি ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলাটা সবসময় উপভোগ করেছি, কারণ ওগুলো বেশি চাপের ম্যাচ। তারা ভালো দল, বড় দল। তাদের কন্ডিশনে নেমে ভালো খেলাটা অনেক বড় কিছু’- ইউটিউবের ক্রিক কাস্ট শো-য়ে বলেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক।
ভারতের সঙ্গে ৬৭টি ওয়ানেডে খেলে ১৫২৪ এবং আটটি টেস্ট খেলে ৭০৯ রান করেছেন আফ্রিদি। শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছাড়া অন্য দুই ক্রিকেট সংস্করণে ভারতের বিপক্ষে দল হিসেবে পাকিস্তানের ফল অবশ্য আরও ভালো। ওয়ানডেতে পাকিস্তানে এগিয়ে আছে ৭৩-৫৫ ব্যবধানে, টেস্টে ১২-৯। টি-টোয়েন্টিতে ভারত ৬ : ১ পাকিস্তান। পাকিস্তান অবশ্য বিশ্বকাপে যে কয়বার ভারতের মুখোমুখি হয়েছে, হেরেছে। বিশ্বকাপে ভারত এগিয়ে ৭-০ ব্যবধানে। বাস্তবতা হলো, ১৯৯৬ সালে পাকিস্তান দলে আফ্রিদির অভিষেকের পর পাকিস্তানের দাপট কমেছে। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০-এর দশকের সেই পাকিস্তান এখন নেই। ২০১০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ভারতের ১০ জয়ের বিপরীতে পাকিস্তান জিতেছে ৪ ম্যাচ।
ভারতের বিপক্ষে আফ্রিদি তিনটি টেস্ট ও দুটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছেন। এর মধ্যে ১৯৯৯ সালে চেন্নাই টেস্টের ১৪১ রানের ইনিংসটিকে মনে করেন সেরা। ভারতীয় বোলারদের যথেচ্ছ পিটিয়ে মেরেছিলেন ২১ চার ও তিনটি ছক্কা। এক প্রান্ত থেকে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকলেও তার ওই ইনিংস পাকিস্তানকে এনে দেয় সম্মানজনক ২৮৬ রান। শচীন টেন্ডুলকার কোমরের ব্যথা নিয়েও সেঞ্চুরি করেন, তারপরও জয় তুলে নিয়েছিল পাকিস্তান। আফ্রিদি চেন্নাই টেস্ট নিয়ে বলেন, ‘ ওই ১৪১ রানের ইনিংস আমার ক্যারিয়ারের সবেচেয়ে স্মরণীয় ইনিংস। আমার প্রথমে যাওয়ার কথা ছিল না, আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওয়াসিম ভাই (ওয়াসিম আকরাম) নির্বাচকদের সঙ্গে লড়াই করেই আমাকে দলে নিয়েছিলেন। কঠিন সফরটিতে ইনিংসটি ছিল ওয়াসিম ভাই ও আমার মুখরক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’