তবে অনুশীলনে ফেরা মানেই যে আগামী ৩১ আগস্ট থেকে শুরু ইউএস ওপেনে অংশ নেবেন জোকোভিচ, বিষয়টা মোটেও তেমন নয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী তিনি নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, ইউএসওপেনে খেলবেন কি না সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি। সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, আদ্রিয়া ট্যুর নিয়ে সমালোচনকারীরা তাকেই যেন মূল অপরাধী বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে। তার বিরুদ্ধে চলছে ‘উইচ-হান্ট’!
নেটে খেলোয়াড়দের পারস্পরিক আলিঙ্গন, একসঙ্গে বাস্কেটবল খেলা, টুর্নামেন্টের মধ্যে পার্টি করা- এসবের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। জোকোভিচ, ত্রয়োস্কি, বুলগেরিয়ার টেনিস তারকা গ্রিগর দিমিত্রভ ও ক্রোয়েশিয়ার বর্না কোরিচ করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর আদ্রিয়া ট্যুর বাতিল হয়ে যায় দ্বিতীয় লেগ থেকেই।
এরপর অনেকেই জোকোভিচের প্রচণ্ড সমালোচনা করেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন তার অনেক সহখেলোয়াড়, টেনিস বিশেষজ্ঞ ও সংগঠক। এদের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ ঝেড়েছেন পুরুষ টেনিসের নাম্বার ওয়ান। সার্বিয়ান সংবাদপত্র স্পোর্টস্কি জার্নালে বলেছেন, ‘আমি তো দেখছি এখন আমার শুধু সমালোচনাই হচ্ছে এবং বেশিরভাগই বিদ্বেষপূর্ণ। সমালোচনার চেয়েও বেশি করা হচ্ছে, আসলে করা হচ্ছে একটা উদ্দেশ্য নিয়ে। চলছে উইচ-হান্ট। দায় চাপানোর জন্য একটা বড় নাম খোঁজা আরকি!’
জোকোভিচ এখনও মনে করেন আদ্রিয়া ট্যুর আয়োজনের পেছনে তার উদ্দেশ্য ছিল মহৎ, ‘আমার ইচ্ছেটা ছিল নির্ভেজাল। আমি সর্বান্তঃকরণে বলকান অঞ্চলে একটা মানবিক ইভেন্ট আয়োজনে দায়বদ্ধ ছিলাম যাতে খেলোয়াড় ও টেনিস ফেডারেশন উপকৃত হয়। আমরা সমস্ত আইন-কানুন মেনে চলেছি। তবে একটা শিক্ষা আমাদের হয়েছে যে কিছু বিষয় অন্যভাবেও করা যেতো।’
১৩-১৪ জুন বেলগ্রেডে অনুষ্ঠিত আদ্রিয়া ট্যুরের প্রথম পর্বে ছিল ৪০০০ দর্শক। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনও বালাই ছিল না। এক সপ্তাহ পর জাদারের ভিসনিক টেনিস কমপ্লেক্সে জোকোভিচ বনাম রুশ প্রতিযোগী আন্দ্রেই রুবলেভের মধ্যকার ফাইনালেও ছিল একই চিত্র। ক্রোয়েশিয়ান সরকার দর্শকদের দুই মিটার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা! এরইমধ্যে খবর আসে দিমিত্রভ করোনা-পজিটিভ। সঙ্গে সঙ্গেই স্থগিত হয়ে যায় খেলা। বাতিল করে দেওয়া হয় মন্টেনেগ্রো ও বসনিয়ায় অনুষ্ঠেয় পরের দুই লেগ।
ইউএস ওপেন নিয়ে কেন তার মধ্যে এখনও দ্বিধা কাজ করছে সে প্রসঙ্গে অবশ্য করোনাভাইরাসকেই সামনে এনেছেন জোকোভিচ, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও নিউ ইয়র্কে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত এই ইভেন্টের (৩১ আগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর) পক্ষে কথা বলছে না।’