মেয়াদের আগেই ছাঁটাই আফগান বোর্ডের প্রধান নির্বাহী

77213979আইসিসির হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেও অস্থিরতা চলছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে (এসিবি)। সর্বশেষ যার শিকার বোর্ডের প্রধান নির্বাহী লুতফুল্লাহ স্ট্যানিকজাই। দুই বছর চুক্তির মেয়াদ থাকলেও এর আগেই তাকে অব্যবস্থাপনা, দুর্ব্যবহার ও কাজকর্ম অসন্তোষজনক বলে ছাঁটাই করেছে এসিবি।   

এসিবির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তাকে আগেও নাকি মৌখিক ও লিখিতভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল।

লুতফুল্লাহ স্ট্যানিকজাই নিজেও এমন পদক্ষেপে বিস্মিত। তিনি দাবি করেছেন, বিষয়টি তিনি বোর্ডের কাছ থেকে নয় বরং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই জানতে পেরেছেন। এমনকি ক্রিকইনফোকে তিনি আরও বলেছেন, ‘এক বোর্ড সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সে এই ব্যাপারে অবগত নয় বলেই জানিয়েছে।’

অথচ এসিবির গঠনতন্ত্র বলছে, প্রধান নির্বাহী সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হলে বোর্ডের সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই তা আসতে হবে।

লুতফুল্লাহ স্ট্যানিকজাইয়ের প্রধান নির্বাহী হওয়াটাও ছিল বিতর্কের মধ্য দিয়ে। ২০১৯ সালের শুরুতে ছাঁটাই করা হয় চেয়ারম্যান আতিফ মশাল ও শফিকুল্লাহ স্ট্যানিকজাইকে। এদের ঘটনার পর বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেননি ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী আসাদুল্লাহ খানও। তার বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র ভঙ্গসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছিল।

তার পর গত বিশ্বকাপে আফগানদের বাজে পারফরম্যান্সের পরই তখনকার মিডিয়া ম্যানেজার লুতফুল্লাহ স্ট্যানিকজাইকে প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। গত জুলাইয়ে তার এই নিয়োগটা ছিল তিন বছরের ভিত্তিতে। কিন্তু স্থায়ী হতে পারলেন না লুতফুল্লাহ স্ট্যানিকজাই।  

উল্লেখ্য, এসিবির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে দেশটির সরকারের যে হাত রয়েছে তা আইসিসির অজানা নয়। যে কারণে গত বছরই তাদের সতর্ক করে দিয়েছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তারা জানিয়েছিল, অভ্যন্তরীণ অস্থিরতায় আইসিসি উদ্বিগ্ন। এসিবিকে এই বার্তা তখন পৌঁছে দিয়েছিলেন আইসিসির তখনকার ডেপুটি চেয়ারম্যান ও বর্তমান অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান ইমরান খাজা। তিনি বেশ কিছু ইস্যুতেই আইসিসির বার্তা তাদের পৌঁছে দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ছিল আইসিসির যেসব অর্থ তারা পায়, সেসব যেন দেশটির ক্রিকেট উন্নয়নে যথাযথভাবে ব্যবহার হয়। একই সঙ্গে তারা অভ্যন্তরীণ অডিটের বিষয়টি যেন আরও জোরদার করে।